মুম্বই: দেশে টিকাসঙ্কটের মাঝেই রমরমিয়ে চলছে নতুন ব্যবসা। টিকাকরণের নামে ভুয়ো ইঞ্জেকশন দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টিকাকরণের সার্টিফিকেটের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্মে গেলেই ধরা পড়ছে গোটা ঘটনাটি। মুম্বইয়ের একটি আবাসনে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা সামনে আসার পর চলচ্চিত্র প্রযোজক রমেশ তৌরানিও জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
গত ৩০ মে মুম্বইয়ের হেরিটেজ রেসিডেন্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে একটি টিকাকরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কিন্তু কো-উইন পোর্টাল থেকে নিজেদের টিকাকরণের সার্টিফিকেট বের করতে গিয়েই দেখা যায়, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের নাম নেই। পরে উদ্যোক্তাদের তরফে বিভিন্ন হাসপাতালের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এক বেসরকারি হাসপাতালকে প্রশ্ন করা হলে তারা জানায় ওই আবাসনে কোনও টিকাকরণ কর্মসূচি করেননি তারা।
এরপরই আবাসনের বাসিন্দারা গোটা বিষয়ের তদন্ত দাবি করেন। অতিরিক্ত মিউনিসিপাল কমিশনার সুরেশ কাকানিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট দাবি করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ চার ব্যক্তিকরে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে মহেন্দ্র সিং নামক এক ব্যক্তিই গোটা ঘটনার পরিকল্পনাকারী। দীর্ঘদিন চিকিৎসাক্ষেত্রে যুক্ত থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। তাঁদের মাধ্যমেই বিভিন্ন সংস্থা ও আবাসনের বাসিন্দাদের ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা আদায় করে নিতেন।
এ দিকে, টিপস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান রমেশ তৌরানিও একই জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, নিজের সংস্থার ৩৬৫ জন কর্মীর জন্য ৩০ মে ও ৩ জুন টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ় বাবদ ১২০০ টাকা ও অতিরিক্ত জিএসটি নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছিল, মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই অম্বানী হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও অবধি তাঁরা কোনও নথি পাননি।
আরও পড়ুন: ‘অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যু হয়নি’, মকড্রিল কাণ্ডে ক্লিনচিট পেল হাসপাতাল