‘অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যু হয়নি’, মকড্রিল কাণ্ডে ক্লিনচিট পেল হাসপাতাল

গত ২৭ এপ্রিল আগ্রার শ্রী পরশ বেসরকারি হাসপাতালে আচমকাই মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে নীল হয়ে যেতে শুরু করলে ফের অক্সিজেন চালু করে দেওয়া হয়।

'অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যু হয়নি', মকড্রিল কাণ্ডে ক্লিনচিট পেল হাসপাতাল
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 7:37 AM

লখনউ: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন সঙ্কট যখন চরমে, সেই সময়ই মক ড্রিল করতে পাঁচ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ। সেদিনই হাসপাতালে ১৬ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। এরপরই উত্তর প্রদেশ সরকার ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফেও অভিযুক্ত হাসপাতালকে ক্লিনচিট দেওয়া হল।

গত ২৭ এপ্রিল আগ্রার শ্রী পরশ বেসরকারি হাসপাতালে আচমকাই মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে নীল হয়ে যেতে শুরু করলে ফের অক্সিজেন চালু করে দেওয়া হয়। তবে সে দিনই ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হওয়ায় রোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। সম্প্রতি হাসপাতাল মালিকের একটি অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হতেই ফের বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই যোগী সরকারের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ জন রোগীর মধ্যে কেউই মক ড্রিলের কারণে মারা যাননি। ১৪ জন রোগীর কো-মর্ডিবিটি চিল এবং দু’জনের এইচআরসিটি অর্থাৎ হৃৎযন্ত্রে প্রদাহ অত্যন্ত বেশি ছিল। করোনা বিধি মেনেই ওই রোগীদের চিকিৎসা চলছিল। কমিটির তরফেও এও জানানো হয় যে, কোনও রোগীরই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়নি। সকলেরই অন্যান্য রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিল ওই হাসপাতালকে ১৪৯টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়, ২০টি আগে থেকেই মজুত ছিল। ২৬ এপ্রিল ফের ১২১টি সিলিন্ডার দেওয়া হয়, সেই সময় ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত ছিল। অর্থাৎ যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন ছিল।

আরও পড়ুন: ‘সময়ের আগেই আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ’, সাধারণের অসচেতনাকেই ফের দুষলেন বিশেষজ্ঞরা