মুম্বই: মাত্র ছয় মাস হয়েছে প্রেমের। দুজনের মধ্যে ভাব-ভালবাসাও ছিল দারুণ। রবিবার পর্যন্তও দেখা গিয়েছে খুশি খুশি মনে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে। কিন্তু পরের দিনই দেখা গেল প্রেমিকের বাড়িতেই প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুর কারণ শুনলে অবাক হবেন। জানা গিয়েছে, প্রেমিক শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক করে দেওয়া, আত্মঘাতীর পথ বেছে নিয়েছেন ওই যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের দহিসার অঞ্চলে। সোমবার, দহিসারের রেল স্টেশনের কাছে যুবকের বাড়ি থেকে কুড়ি বছর বয়সী ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার প্রেমিকার সঙ্গে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যান প্রণালী লোকারে নামে ওই যুবতী। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। বেশি রাত হয়ে যাওয়া প্রণালী চেয়েছিলেন প্রেমিকের বাড়িতেই থেকে যেতে। সেই প্রস্তাব মানেননি প্রেমিক। রাতে এই কথা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় দুইজনের মধ্যে। রাগের মাথায় প্রেমিক হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ব্যস, এতটুকুই। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে পরদিন সকালে প্রেমিকের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেন যুবতী।
মুম্বই পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে ছয় মাস আগে আলাপ হয় ২৭ বছরের তরুণের। বিগত ছয় মাস ধরেই তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। রবিবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে সেরে ফেরার সময় যুবতী জেদ করেন যে রাতটুকু প্রেমিকের বাড়িতেই কাটাবেন তিনি। কিন্তু প্রেমিক সেই প্রস্তাব মানতে চাননি। এক প্রকার জোর করেই তিনি প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
কিছুক্ষণ পরই ওই যুবতী তাঁকে ফের ফোন করতে শুরু করে। এবার ওই যুবতী দাবি করে যে, তাঁর প্রেমিক যেন রাতেই তাঁর বাড়িতে আসে। কিন্তু ওই যুবক সেই প্রস্তাবও নাকচ করে দেন। ওই যুবক জানায় যে, রাতে ওই এলাকায় ‘নেশাখোর’রা ঘুরে বেড়ায়। বারংবার প্রেমিকা ফোন করায় তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে দেন এবং ফোন ধরা বন্ধ করে দেন।
রাতেই ওই যুবকের বাড়িতে হাজির হয়। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বচসা হয়। শেষে রাতটুকু প্রেমিকের বাড়িতেই কাটায় ওই যুবতী। ভোরে ওই যুবক ঘুম থেকে উঠলে দেখতে পায় যে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবতী। মেয়েটির পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।