Lakhimpur Violence: খুনের অভিযোগ দায়ের হল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে, বিপুল ক্ষতিপূরণের দাবি কৃষকদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 04, 2021 | 9:10 AM

FIR Lodged Against Union Minister's Son: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র তাঁর ছেলে আশীষ মিশ্রের গাড়িতে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আমার ছেলে ঘটনাস্থলেও ছিল না।"

Lakhimpur Violence: খুনের অভিযোগ দায়ের হল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে, বিপুল ক্ষতিপূরণের দাবি কৃষকদের
লখিমপুর খেরির ঘটনায় গ্রেফতার আরও চার। ফাইল ছবি।

Follow Us

লখনউ: খুনের মামলা (Murder Case) দায়ের হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র লখিমপুর খেরি(Lakhimpur Kheri)-তে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র (Ajay Kumar Mishra) উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের (Keshab Mourya)। কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিল। এমন সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে চাপা পড়ে মারা যান ৪ আন্দোলনকারী। এই ঘটনার পরই অজয় কুমার মিশ্রের ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হল। এছাড়াও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের কৃষক আন্দোলন ঘিরে হিংসার ঘটনায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন কৃষক ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র কৃষক আন্দোলনকে বলেছিলেন, “১০-১৫ জনের প্রতিবাদ”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই রবিবার কৃষকরা পথ আটকে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিল। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তেই বিপর্যয় ঘটে। গাড়ির ভিতরে বসা যাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়েই চাপা পড়ে যান গাড়িটি ঘিরে আন্দোলনকারী ৪ কৃষক।

কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেন, “কৃষকরা হেলিপ্যাড ঘেরাও করার পরিকল্পনা করেছিল। মন্ত্রীদের বাধা দিতেই এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল। ঘেরাও অভিযান শেষ হতেই তারা যখন ফিরে আসছিলেন, সেই সময়ই তিনটি গাড়ি আসে এবং কৃষকদের পিষে দেয়। একজন কৃষকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং অপরজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।”

যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র তাঁর ছেলে আশীষ মিশ্রের গাড়িতে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে ঘটনাস্থলেও ছিল না। ওখানে কিছু দূৃুষ্কৃতী দলীয় কর্মীদের উপর লাঠি ও তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করে। যদি আমার ছেলে ঘটনাস্থলে থাকত, তবে ও জীবিত অবস্থায় ফিরত না। আমার ছেলে উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিল। আমি উপ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম।”

পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না বেরিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লখিমপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। এদিকে,  কৃষক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, লখিমপুর খেরির ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে জেলাশাসকদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তারা মৃতদের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মন্ত্রী-পুত্রের শাস্তির দাবিও তোলা হয়ছে। এই দাবিগুলি পূরণ না করা হলে কৃষকদের শেষকৃত্যও করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

এদিন ভোরেই উত্তর প্রদেশ পৌঁছেছেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। এছাড়াও কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, ভূপেশ বাঘেল, সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদবেরও যাওয়ার কথা। ভোরবেলাতেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে লখিমপুর যাওয়ার পথে হারগাওতে আটক করে পুলিশ। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিমানও বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব লখিমপুরে যাবেন। তবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে তাদেরও গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে।

Next Article