Priyanka Gandhi: পুলিশি নির্দেশ ভাঙায় মাঝপথে আটক প্রিয়ঙ্কা, জড়ালেন পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে

Priyanka Gandhi detained in UP: রবিবারই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী জানান, তিনি তিকুনিয়ায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে তাঁকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Priyanka Gandhi: পুলিশি নির্দেশ ভাঙায় মাঝপথে আটক প্রিয়ঙ্কা, জড়ালেন পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে
প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে আটক করল পুলিশ। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 8:36 AM

লখনউ: গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। সেই নির্দেশ ভঙ্গ করেই লখিমপুরে যাওয়ার চেষ্টা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী(Priyanka Gandhi)। তবে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদই তাঁকে আটক করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh Police)। তাঁকে সীতাপুরের একটি অতিথিনিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

রবিবারই কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মিটিং ঘিরে কৃষকদের আন্দোলন এবং সেখান থেকে যে হিংসা ছড়ায়। ওই সংঘর্ষে ৪ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। অন্যদিকে বিজেপির তরফেও দাবি, কৃষক নয়, তাদের কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। রবিবারই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী জানান, তিনি তিকুনিয়ায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে তাঁকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে রাতেই তিনি সেই নির্দেশ ভেঙে লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে হারগাওতেই তাঁকে আটকানো হয়েছে। প্রথমে দেখা যায়, তিনি পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে একটি টোল প্লাজার কাছে বাধা দেয়। এরপরই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। পুলিশকে শাসাতেও দেখা যায় তাঁকে।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অশান্তি রুখতে গোটা এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। সেই কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আপাতত লখিমপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।  তবে কৃষকদের লখিমপুরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, লখনউ থেকে লখিমপুরে যাওয়ার পথে প্রতিটি টোলপ্লাজায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংবাদমাধ্যম ও রাজননৈতিক নেতৃত্বদের বাধা দিতেই মাঝ সড়কে আড়াআড়িভাবে ট্রাক রেখে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও তাঁর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও অপরাধ করছি না। আমি কেবল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের দুঃখ ভাগ করে নিতে চাই। এতে কী ভুল রয়েছে? যদি আমি কোনও অপরাধ করে থাকি, তবে উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে ওয়ারেন্ট থাকা উচিত। আমায় কী কারণে আটকানো হচ্ছে, তা জানানো হোক আগে।”

রবিবারই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর এস হুডা, আরাধনা মিশ্র ও প্রমোদ তিওয়ারি। সেখান থেকে সোজা উত্তর প্রদেশে নিজের বাসভবন লখনউয়ের কউল হাউসে যান। সেখানেই তাঁকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রিয়ঙ্কাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়ার পরই কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: Lakhimpur Violence: হিংসার ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী, ৪ মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব