TMC : বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে নেই তৃণমূলের নাম, একক অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে ক্রমেই ‘বন্ধু’ হারাচ্ছেন মমতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 29, 2021 | 6:26 PM

Parliament Winter Session : তৃণমূলকে পাশ কাটিয়েই বিরোধীরা রণকৌশল তৈরি করছে?

TMC : বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে নেই তৃণমূলের নাম, একক অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে ক্রমেই বন্ধু হারাচ্ছেন মমতা?
বন্ধু হারাচ্ছে তৃণমূলে? (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি : সংসদের বাদল অধিবেশনেরর শেষ দিনে পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ। সে একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড। আর তার জেরে এবার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল বিরোধী দলগুলির ১২ সাংসদদের। আর এর প্রতিবাদে ফের একবার এককাট্টা হচ্ছে বিরোধীরা। ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আম আদমি পার্টি, টিআরএস, এলজেডি, জেডিএস, এমডিএমকে এবং আইইউএমএল। সবাই রয়েছে সেখানে। কিন্তু নেই তৃণমূল। তাহলে কি তৃণমূলকে পাশ কাটিয়েই বিরোধীরা রণকৌশল তৈরি করছে?

বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে ছিল না তৃণমূলের নাম। বরং তাঁরা আলাদা ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করল। সাসপেন্ড হওয়া দুই সাংসদ – দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীকে পাশে বসিয়ে সুখেন্দু শেখর রায় বললেন, যে সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের কথা বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করলেন। সবই ঠিক ছিল। বিরোধী দলগুলির যৌথ বিবৃতিতেও বলা হচ্ছে, অগণতান্ত্রিক। কিন্তু আলাদা ভাবে সাংবাদিক বৈঠকে বসতে হচ্ছে কেন তৃণমূলকে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আজ এই প্রসঙ্গে সুখেন্দু শেখর রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “যারা ওই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তারা আমাদেরে ডাকেনি।” সুখেন্দু শেখরের এই বক্তব্য যদি সত্যি হয়, তাহলে কি তৃণমূলকে পাশ কাটিয়েই চলতে চাইছে বিরোধী দলগুলি? বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে গিয়ে কি জাতীয় রাজনীতিতে ‘বন্ধু’ হারাচ্ছে তৃণমূল?

সম্প্রতি মমতা নিজের দিল্লি সফরে স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন। সাংবাদিকরা মমতাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কবে দেখা করবেন? প্রশ্ন শুনে চটে গিয়ে মমতা বলেন, “দিল্লি এলেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে এইরকম কোনও নিয়ম আছে নাকি? এটা কি কোনও সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা? আমি দেখা করার জন্য কোনও সময় চাইনি।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসকে চড়া সুরে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। আর তা মোটেও ভাল চোখে নেননি কংগ্রেস নেতাদের অনেকে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসকে আক্রমণ করে, কংগ্রেসকে দুর্বল দেখিয়ে, তৃণমূল আসলে বিজেপিকেই সাহায্য করছে। যদিও সেই সব অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, সবাই দেখেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। কিন্তু আজ যখন বিরোধী অস্ত্র শান লাগানোর পালা এসেছে, তখন সেই আম আদমি পার্টিকেও দেখা গেল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে। কিন্তু তৃণমূল নেই। নিজের একক অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে বিরোধী ঐক্যের বলয় থেকে ক্রমেই ছিটকে যাচ্ছে না তো তৃণমূল?

আরও পড়ুন : Shashi Tharoor: ‘কে বলে লোকসভা… আকর্ষণীয় জায়গা নয়?’, মিমি-নুসরতদের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে বিতর্কে শশী

Next Article