Singhu Murder: সিংঘুতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 16, 2021 | 11:47 PM

Singhu: দশহরার দিন এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে দেশ। প্রথম যখন দেহটি নজরে আসে, তখন সেটি ব্যারিকেডে ঝুলছিল। উল্টো করে ঝোলানো ছিল দেহটি।

Singhu Murder: সিংঘুতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন
সিংঘু সীমানায় ব্যারিকেড থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ফাইল চিত্র।

Follow Us

হরিয়ানা: সিংঘু (Singhu Border) সীমানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালেই পঞ্জাবের অমরকোট গ্রাম থেকে নারায়ণ সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সরবজিত সিংকে। এবার আরও দু’জন আত্মসমর্পণ করলেন। দু’জনই নিহঙ্গ শিখ গোষ্ঠীর। তাঁদের নাম ভগবন্ত সিং ও গোবিন্দ সিং। এদিন হরিয়ানা পুলিশের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

শুক্রবার নিহঙ্গ সম্প্রদায়ের সরবজিত সিং নিজেই গিয়ে পুলিশের কাছে কৃতকর্মের কথা জানান। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশি জেরায় সরবজিৎ আরও চারজনের নাম বলেন।

এর পরই তদন্তে নেমে নারায়ণ সিংকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় আরও দু’জন আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে তাঁদের নাম ভগবন্ত সিং ও গোবিন্দ সিং।

সিংঘু সীমানা থেকে শুক্রবার ভোরে কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের পাশ থেকে ক্ষত বিক্ষত একটি দেহ উদ্ধার হয়। নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় ওই যুবককে। খুনের পর মৃতের হাত কেটে ব্যারিকেডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দেহটি ১০০ মিটার পর্যন্ত টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। মৃতদেহে ধারাল অস্ত্রের কোপও রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিহত যুবকের নাম লখবীর সিং। ৩৫ বছর বয়স। পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দলিত লখবীর একজন শ্রমিক। তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে। সবথেকে ছোট মেয়ের বয়স ৮ বছর। বড়জনের বয়স ১২।

শুক্রবার সকালে এই দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিশ জানায়, ভোর ৫টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে একটি ভিডিয়োও সামনে আসে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, নিহঙ্গ শিখ গোষ্ঠীর কোনও সদস্য এই ঘটনায় যুক্ত। ধীরে ধীরে সেই অনুমানই সত্য়ি হয়।


দশহরার দিন এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে দেশ। প্রথম যখন দেহটি নজরে আসে, তখন সেটি ব্যারিকেডে ঝুলছিল। উল্টো করে ঝোলানো ছিল দেহটি। চোখগুলো যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। একটি হাতের কবজির পর বাকি অংশ আর নেই। পা দিয়েও রক্ত বেরিয়েছে প্রচুর। রক্তে ভেজা শরীর। চারিদিকে রক্তের ছিটে। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে,  লখবীর নামে ওই ব্যক্তি নাকি পবিত্র শিখ ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিবের অবমাননা করেছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁর উপর চড়াও হয় নিহঙ্গ গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দলীয় জনপ্রতিনিধিদের কালীপুজোয় সংযম বজায় রাখার বার্তা মমতার

Next Article