Narayana Murthy: ‘আর্টিফিশাল ইনটেলিজেন্স’ কি সত্যিই কেড়ে নেবে চাকরি? কী উত্তর দিলেন নারায়ণ মূর্তি
Narayana Murthy: এর আগেও নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, এআই মানুষের জীবনযাত্রাকে সুবিধাজনক করে তুললেও মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। মানুষের মন যে কাজ করতে পারে, তা প্রযুক্তি পারে না বলেই মনে করেন তিনি।
নয়া দিল্লি: শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের দাপট। মানুষের থেকে বেশি নিখুঁত কাজ প্রযুক্তি করছে কি না, তা নিয়ে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। কিন্তু বিজ্ঞানের এমন উন্নতি প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান। এআই-এর জন্য কর্মীর প্রয়োজন ক্রমশ কমবে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিশেষত তথ্য়-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তেমন আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে প্রায়ই। সেই বিষয়েই এবার ব্যাখ্যা দিলেন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি।
সম্প্রতি ‘মানিকন্ট্রোল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নারায়ণ মূর্তিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে তিনি এমন আশঙ্কার কথা কার্যত উড়িয়েই দিয়েছেন। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভগবানের সৃষ্টি করা সবথেকে ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র হল মানুষের মন।”
ইনফোসিস কর্তা উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৫ সালে ‘কেস টুল’ চালু হওয়ার পরও অনেকেই ভেবেছিলেন মানুষ হয়ত চাকরি হারাবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। কঠিন ও জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষেরই প্রয়োজন পড়েছে। তাঁর মতে, মানুষকে সাহায্য করার জন্যই কেবল কাজ করতে পারে প্রযুক্তি। এআই-এর দক্ষতা নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করলেও নারায়ণ মূর্তি মনে করেন এখনই কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়ার সময় আসেনি। এতটা প্রযুক্তি নির্ভরতা এখনই সম্ভব নয় বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগেও নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, এআই মানুষের জীবনযাত্রাকে সুবিধাজনক করে তুললেও মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। মানুষের মন যে কাজ করতে পারে, তা প্রযুক্তি পারে না বলেই মনে করেন তিনি।
সাম্প্রতিককালে একাধিক ক্ষেত্রে এআই-এর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ বিস্মিত হচ্ছেন এআই-এর কাজ দেখে। আবার বাড়ছে ভয়ও।