নয়া দিল্লি : গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তীতে দিল্লির করোল বাগের আশ্রমে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বুধবার সকালেই গুরু রবিদাস বিশ্রাম ধাম (Guru Ravidas Vishram Dham) মন্দিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে মাটিতে বসে কীর্তনেও যোগ দেন মোদী। সেই কীর্তনের ভিডিয়ো নিজেই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেছেন। মন্দিরের দর্শনার্থীদের খাতায় রবিদাসের ভক্তদের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়েছন তিনি। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, গুরু রবিদাসের জীবন মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। মূলত পঞ্জাবের মানুষ এই দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করেন। এই রবিদাসের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের দিনও বদলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ দিন গুরুদাস জয়ন্তীতে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ভালোবাসা ও সাম্যের বার্তা দিয়েছিলেন গুরু রবিদাস।’ বিদ্বেষ ভুলে সাম্য, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার মন্ত্র নিয়েই সমাজ গঠনের বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
गुरु रविदास जयंती पर सभी देशवासियों को हार्दिक शुभकामनाएं।
महान संत गुरु रविदास जी ने बिना भेद-भाव के परस्पर प्रेम और समता का व्यवहार करने का संदेश दिया।
आइए, हम सब गुरु रविदास जी द्वारा बताए गए मार्ग पर चलते हुए समता, समरसता और समन्वय पर आधारित समाज के निर्माण में योगदान करें।
— President of India (@rashtrapatibhvn) February 16, 2022
সাধারণত মাঘ পূর্ণিমার দিনই রবিদাসের জন্মজয়ন্তী পালন হয়। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারিতেই মাঘ পূর্ণিমা। দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর অনিল বাজাজ রবিদাসের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। এ দিন রাজধানীর সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে।
গুরু রবিদাসের জন্মদিন ঠিক কবে, তা কেউই জানেন না। তবে অনুমান করা হয়, উত্তর প্রদেশের বারাণসিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রত্যেক বছর মাঘ পূর্ণিমায় সেই জন্মজয়ন্তী পালন করার রীতি রয়েছে। আর এবার সেই পূর্ণিমায় গুরু রবিদাসের আশ্রমে গেলেন মোদী। মঙ্গলবারই গুরু রবিদাসের কথা স্মরণ করে একটি টুইটও করেছেন তিনি।
Very special moments at the Shri Guru Ravidas Vishram Dham Mandir in Delhi. pic.twitter.com/PM2k0LxpBg
— Narendra Modi (@narendramodi) February 16, 2022
১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। গুরু রবিদাস জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সেই দিন বদলে দেওয়া হয়। বদলে ২০ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। এই উৎসবের সময় পঞ্জাবের বহু মানুষ উত্তর প্রদেশের বারাণসিতে যান। অনেকেই রাজ্যে থাকবেন না। ফলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন চন্নি। এরপরই বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। আর্জি মেনে পিছিয়ে দেওয়া হয় ভোটের দিন।
আরও পড়ুন : Manish Tiwari on Leaving Congress: ‘যখন ওই জায়গায় পৌঁছব, তখন সেতু পার করব…’, কংগ্রেস ছাড়বেন মণীশ তিওয়ারিও?