নয়া দিল্লি : দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমশ। ইতিমধ্যে ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রের তরফে বিষয়টাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা। এই পরিস্থিতিতে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। আর সেই বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, ‘আমাদের সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’
দেশের প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উপযুক্ত আছে কি না, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে কেন্দ্র। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সহযোগিতা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নমুনা পরীক্ষা ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার ওপর জোর দিতে বলেছেন। এ দিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ফের সেই বিষয়ে নজর দিতে বলেন। মোদী জানিয়েছেন, যে সব রাজ্যে টিকাকরণ কম হয়েছে বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক নেই, সেখানে কেন্দ্রের তরফে টিম পাঠোনো হবে। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সাহায্য় করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু ওমিক্রন নয়, সামগ্রিক ভাবেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। উদ্বেগের ছবি মুম্বইতে। বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬০২ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দেশের বাণিজ্য রাজধানীতে। মারা গিয়েছেন ১ জন। গত ৬ অক্টোবরের পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ সেখানে। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে চিকিৎসাধীন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮১৩, পজিটিভিটি রেট ১.৫২ শতাংশ।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওমিক্রন-সংক্রমণের জেরে খবরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত ৮৮ জন ওমিক্রন-আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। পুরো দেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২৮৬।
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মাঝে কেরলের করোনা সংক্রমণ এখনও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরপর দুদিন কেরলের করোনা সংক্রমণ ৩ হাজারের নিচে হলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার মত যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ কেরলে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫১৩। সব মিলিয়ে কেরলে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫১৭। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, পঞ্জাব ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক প্রচার ভোটের লাইনে জমায়েতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা। সেই কথা মাথায় রেখেই ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে করোনা টিকাকরণের ওপর জোর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য প্রশাসনকে আরও বেশি মাত্রায় করোনা টিকাকরণের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari rally: ভাতাই মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ, অথচ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেন না! তোপ শুভেন্দুর