নয়াদিল্লি : চলতি মাসের শেষের দিকেই আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিগত প্রায় ছয় মাসে এটিই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর হতে চলেছে। যদিও সফর সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি।
জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মার্কিন সফর। সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানা না গেলেও সূত্রের খবর, ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকা সফরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াশিংটন এবং নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
২৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের রাষ্ট্রনেতারা সশরীরে বৈঠকে করতে পারেন। চলতি বছরের ১২ মার্চ চার দেশের প্রধানের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর থেকেই সশরীরে বৈঠকের জন্য় আগ্রহী ছিল আমেরিকা। কিন্তু এই বৈঠক শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা নিয়ে এখনও বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিডে সুগা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। দিল্লির শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, ভারত এখনও অপেক্ষা করছে বৈঠকটি হবে কি না তার জন্য।
এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বরের আগেই বাইডেনের সঙ্গে মোদীর বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকে ভারত – মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও, আফগানিস্তান ইস্যুও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে মার্চের কোয়াড সামিট, এপ্রিলের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈঠক এবং জুনের জি-৭ বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী – বাইডেন। তবে সশরীরে বৈঠকে এই প্রথমবার হতে চলেছে।
আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে ভারতের কূটনীতিকরা। ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা আজ ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে।
আফগানিস্তানের প্রতিটি গতিবিধির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে ওয়াশিংটনও। নতুন তালিবান সরকার গঠনমূলক হবে বলে আশা করছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে যাতে শুধু তালিব নয়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব থেকে সেই কথাও আজ ওয়াশিংটন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি।
তালিবান ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, চিনই তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তালিবদের জন্য চিন অসাধারণ সব সুযোগ প্রস্তুত করেছে। আফগানিস্তান এই মুহূর্তে বিনিয়োগ এবং পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে তালিবান প্রসঙ্গে কী ভাবছে আমেরিকা? কতটা নরম হবে ওয়াশিংটন? আবার ভারতই বা কী ভাবছে আফগানিস্তান নিয়ে। আফগানিস্তান – চিন- পাকিস্তান ত্রিশক্তি জোট তৈরি হলে কীভাবে সামাল দেবে ভারত ? এমন একাধিক প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে মোদী – বাইডেন বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন : কিছুটা ব্যাকফুটে হলেও আফগান ভূমে কড়া নজর রাখতে মরিয়া বাইডেন, কেন?