নয়া দিল্লি: বাচ্চা থেকে বুড়ো-সকলেই এখন ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু শিশুদের জন্য় কী সুরক্ষিত ইউটিউব? অল্প বয়সেই তাদের সামনে এমন অনেক ভিডিয়ো চলে আসছে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অশ্লীলতার জায়গা নেই ইউটিউবে, তাও মাঝে-মধ্যেই এমন কিছু ভিডিয়ো সামনে আসে যা দেখে মনে প্রশ্ন ওঠে। এমন অনেক অশ্লীলতার ভিডিয়োকে ‘ফ্ল্যাগ’ বা চিহ্নিত করে ডিলিট করেছে ইউটিউব। এরপরও নিস্তার মেলেনি। এই ধরনের ভিডিয়োয় এবার রাশ টানতে ময়দানে নামল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। মা-ছেলের ভাইরাল অশ্লীল ভিডিয়ো নিয়েই এবার সমন পাঠানো হল ইউটিউবকে। আগামী ১৫ জানুয়ারি ইউটিউব ইন্ডিয়ার প্রধানকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
ইউটিউব ইন্ডিয়ার গভর্মেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসির প্রধান মীরা চট্টকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সমস্ত চ্যানেল, যেখানে এই ধরনের অশ্লীল ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, তার তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ১৫ জানুয়ারি শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানান, বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে যেভাবে অশ্লীল ভিডিয়োর সংখ্য়া বাড়ছে, বিশেষ করে মা ও ছেলেকে নিয়ে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই জন্যই ইউটিউব ইন্ডিয়ার প্রধানকে তলব করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইউটিউবে সম্প্রতিই বেশ কিছু “চ্যালেঞ্জ ভিডিয়ো” সামনে এসেছে, যেখানে মা ও তাঁর কিশোর ছেলেকে চুম্বন ও ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে। ‘ডেয়ার’ বা সাহসিকতার নামে এই অশ্লীল ভিডিয়ো নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই ধরনের ভিডিয়ো পকসো আইনকে লঙ্ঘন করে বলেই জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, “ইউটিউবকে এটা ঠিক করতেই হবে। অপরাধীদের জেলে পাঠানো হবে। এই ধরনের ভিডিয়োর প্রচার পর্ন বিক্রির সমান। যে প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের শিশু নির্যাতনের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়, তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।”