ভুবনেশ্বর: আগামী বছরের শুরুতে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, গত সপ্তাহে প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে কেন্দ্র। সম্ভবত চলতি বছরের শেষেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার, ইন্ডিয়া জোটের এই দুই নেতা-নেত্রীর সুরেই সুর মেলালেন বিজেডি প্রধান তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও। যেকোনও সময়ে নির্বাচন হতে পারে এবং তার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলের বিশিষ্ট নেতাদের দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বলেছেন। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের প্রায় একই সময়ে ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচনও হওয়ার কথা। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও এগিয়ে আনা হতে পারে বলে মনে করছে ওড়িশার শাসক দল।
বিজেডি নেতা অমরপ্রসাদ সতপতী জানিয়েছেন, বুধবারই একটি পর্যালোচনা সভা করেছেন নবীন পট্টনায়ক। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার আটটি জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকরা। সেখানে নবীন পট্টনায়ক জানান, ২০২৪ সালের মে-জুনে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, চলতি বছরের শেষের দিকেই দুই নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। এর সজন্য শিগগিরই ১৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্রেরই নেতাদের সঙ্গে সভা করবেন নবীন। অমরপ্রসাদ সতপতীর মতে, ওড়িশার জনগণের সমর্থন রয়েছে বিজেডির সঙ্গে। আগামী বছরের জুনে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। তবে তার আগেই নির্বাচনের যেতে তৈরি তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে বিজেডি বেশ কিছু জনমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখন তার ফল পাচ্ছেন মানুষ। তাই, আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে, তা বিজেডির পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন বিজেডি নেতারা।
নির্বাচনের জন্য কোন কোন বিষয়ের উপর ফোকাস করা হবে, দলীয় নেতা প্রসন্ন আচার্যকে তা নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক। প্রসন্ন আচার্য জানিয়েছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। আগাম নির্বাচন হলেও কোনও অসুবিধা হবে ন। তিনি বলেছেন, এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সম্প্রতি ‘অমা ওড়িশা, নবীন ওড়িশা’-র মতো একগুচ্ছ কল্যাণমূলক কর্মসূচির ঘোষণা করেছে ওড়িশা সরকার। নবীন পট্টনায়কের ব্যক্তিগত সচিব ভিকে পান্ডিয়ান জুলাই মাস থেকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ঝটিতি সফর করে চলেছেন। জনগণের অভিযোগ শুনেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন মাথায় রেখেই এই সকল পদক্ষেপ করছে পট্টনায়ক সরকার।