সুকমা: নকশাল দমন অভিযানে (Anti-Naxal Operation) মিলছে একের পর এক সাফল্য। শুক্রবার ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh)-র সুকমায় এনকাউন্টার (Encounter) অভিযানে খতম করা হল নকশাল কম্য়ান্ডার বাস্তা ভীমা(Basta Bheema)- কে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর কমপক্ষে নয়বার প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে ছিল এই নকশাল নেতা। জানা গিয়েছে, তাঁর খোঁজে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৭টা নাগাদ সুকমার (Sukma) তাদমেটলা গ্রামের কাছেই অবস্থিত একটি জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশের রিজার্ভ গার্ড (DRG) ও সিআরপিএফ (CRPF) বাহিনীর ২০১ এলিট কোবরা ব্যাটেলিয়ন। সুকমার পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট সুনীল শর্মা জানান, যৌথ বাহিনী ওই জঙ্গলের আশেপাশেই রুটিম মাফিক টহল দিচ্ছিল। সেই সময়ই তাদমেটলা গ্রামের পাশে জঙ্গলে নকশালদের উপস্থিতির খবর পায় তারা। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
জঙ্গলের প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও সিআরপিএফের কেবরা বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে নকশালরা। পাল্টা গুলি চালায় কোবরা বাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পরই নকশালদের তরফ থেকে গুলি চলা বন্ধ হতেই তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। জঙ্গলের ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় বাস্তা ভীমার রক্তাক্ত দেহ।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই নকশাল নেতার খোঁজ চালাচ্ছিল সিআরপিএফ বাহিনী। ২০২০ সালের মার্চ মাসে মিনপা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বাস্তা ভীমা, ওই হামলায় ১৭ জন নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া গত বছর নভেম্বর মাসে চিন্তালানার এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণ, যার আঘাতে কোবরা বাহিনীর অ্যাসিসটেন্ট কম্যান্ডান্ট মারা গিয়েছিলেন এবং আরও নয়জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন, তার পিছনেও এই নকশাল কম্যান্ডারেরই হাত ছিল।
সুকমার পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল যে মিনপা হামলার সময় যে মাওবাদী দল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তার অন্যতম ক্য়াডার ছিল এই বাস্তা ভীমা। পুলিশ অনেকদিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিল। গতকালের এই এনকাউন্টার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।