Naxals Kidnap Villagers: ভরদুপুরে গ্রামে হঠাৎ নকশাল হামলা, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সহ ৫ জনকে অপহরণ
Naxals Kidnap Villagers in Chhattisgarh: রবিবার দুপুরে অপহরণের খবর পেতেই সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। দুপুর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সুকমা: রবিবার দুপুরে আচমকাই ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) থেকে পাঁচজনকে অপহরণ করল নকশালপন্থীরা (Naxals)। অপহরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে খবর পেতেই নিখোঁজ গ্রামবাসীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী (Security forces)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে আচমকাই ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলার বাতের গ্রামে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন নকশালপন্থী। এরপরই তারা গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে শুরু করে। সেই রাতেই দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী সহ মোট পাঁচজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
রবিবার দুপুরে অপহরণের খবর পেতেই সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। দুপুর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে কোন্তা পুলিশ স্টেশনের অধীনে জঙ্গলের ১৮ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত ওই গ্রামটি। জঙ্গলের মাঝামাঝি গ্রামটি অবস্থিত হওয়ায় নকশালদের যাতায়াতে বিশেষ সুবিধা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জঙ্গলের ভিতরেই কোথাও অপহৃত গ্রামবাসীদের নিয়ে লুকিয়ে রয়েছে নকশালরা। তবে এখনও তারা কোনও দাবি জানায়নি। সুকমার পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট সুনীল শর্মা জানান, রবিবার দুপুরে অপহরণের খবর মিলতেই নিরাপত্তা বাহিনীদেরও খবর দেওয়া হয়। মিলিতভাবে ওই নিখোঁজ গ্রামবাসীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “ওই গ্রামবাসীদের কেন অপহরণ করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেক সময় নকশালপন্থীরা নিজেদের বৈঠকের সময় গ্রামবাসীদেরও নিয়ে যান। এক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। বাস্তার অঞ্চলের আদিবাসী সংগঠন সর্ব আদিবাসী সমাজের তরফে অপহৃত ওই গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এর আগে জুলাই মাসেও ছত্তীসগঢ়ের জাগারগুন্ডা পুলিশ স্টেশনের অধীনে কুন্দেদ গ্রামের আট বাসিন্দাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল নকশালরা। অপহরণের তিনদিন পর তাদের অক্ষত অবস্থাতেই ফিরিয়ে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: CRPF Firing: মধ্যরাতে হঠাৎই কী হল, ঘুমন্ত ৭ সহকর্মীর উপর গুলি চালালেন সিআরপিএফ জওয়ান! মৃত ৪