Aryan Khan Drug Case: রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি-বেনিয়ম, শাহরুখের ছেলেকে ফাঁসাতেই শেষ মুহূর্তে FIR-এ নাম জুড়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 19, 2023 | 12:41 PM

NCB Investigation: এনসিবির রিপোর্টে সমীর ওয়াংখেড়ে সহ বেশ কয়েকজন এনসিবি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায় করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই টাকা না দিলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

Aryan Khan Drug Case: রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি-বেনিয়ম, শাহরুখের ছেলেকে ফাঁসাতেই শেষ মুহূর্তে FIR-এ নাম জুড়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে!
ফাইল চিত্র

Follow Us

মুম্বই: মাদক মামলায় ফেঁসে জেলে যেতে হয়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan)। যদিও ২২ দিন জেলে থাকার পর উপযুক্ত তথ্য় প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয় আরিয়ানকে। এরপরই আরিয়ান খানকে ইচ্ছাকৃতভাবে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) বা এনসিবির বিরুদ্ধে। শাহরুখ পুত্রকে গ্রেফতার করে রাতারাতি ‘হিরো’ হয়ে ওঠা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেও শাহরুখ খানের কাছ থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দল। সম্প্রতি সিবিআইয়ের তরফেও সমন পাঠানো হয়। এবার এনসিবির রিপোর্টেও চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এল সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মুম্বইয়ের প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেই প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan)-কে। পরে মাদক রাখা ও সেবন করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারও করে এনসিবি। সেই সময় গোটা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এনসিবির জোনাল অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)।  শাহরুখ পুত্রকে গ্রেফতারের জন্য একদিকে যেমন অনেকে বাহবা দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েকে, তেমনই আবার গোটা ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে একের পর এক ধৃত ব্য়ক্তির বয়ান ঘিরেও রহস্য় তৈরি হয়। একাধিক অভিযুক্তই দাবি করেন, বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়ের জন্যই আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হয়েছিল। আর এই গোটা ঘটনার পিছনে হাত ছিল এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের।

একাধিক অভিযোগ ওঠার পরই সমীর ওয়াংখেড়েকে আরিয়ান খান মাদক মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। সম্প্রতিই এনসিবির তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এনসিবির তরফে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে দুর্নীতি, বাজে ব্যবহার, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি সহ একাধিক অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।

এনসিবির রিপোর্টে সমীর ওয়াংখেড়ে সহ বেশ কয়েকজন এনসিবি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায় করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই টাকা না দিলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

এনসিবির রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আরিয়ান খান ও তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের নাম একদম শেষ মুহূর্তে এফআইআরে যোগ করা হয়েছিল। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের নাম এফআইআর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন এক যুবতীর কাছ থেকে গাঁজা বানানোর রোলিং পেপার উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরও ওই যুবতীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরিয়ান খানের গ্রেফতারি ও তাঁকে হেফাজতে নেওয়া ঘিরে একাধিক ভুল-ত্রুটির প্রমাণ পেয়ে এনসিবির ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবেই গোটা ঘটনাটি সাজানো হয়েছিল, যাতে আরিয়ানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে কিরণ গোসাভির মাধ্য়মে শাহরুখ খানের ম্যানজার পূজার কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায় করা যায়।

Next Article