মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মহা নাটকের আজই কি যবনিকা পতন হবে নাকি আরও নতুন কিছু অপেক্ষা করছে? রবিবারই যেভাবে হঠাৎ বিজেপি-শিবসেনার সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার সহ একাধিক বিধায়করা, তারপর থেকেই গত বছরের শিবসেনার ভাঙনের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মতো যাতে শরদ পওয়ারেরও পরিণতি না হয়, তার জন্য আজই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির তরফে অজিত পওয়ারের বিধায়ক পদ খারিজ করার আর্জি জানানো হবে।
জানা গিয়েছে, শরদ পওয়ারের দল এনসিপির তরফে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভার স্পিকারের কাছে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। রবিবার অজিত পওয়ার সহ এনসিপির যে ৯ জন নেতা শিবসেনা-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন, তাদের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাহুল নারভেকর। পাশাপাশি, দলের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে যে এনসিপির প্রধান শরদ পওয়ারই। ১৯৯৯ সালে তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেন, তারপর থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এখনও দলের নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন আসেনি। অজিত পওয়ারের শিবিরের কোনও আবেদন শোনার আগে যেন শরদ পওয়ারের শিবিরের বক্তব্য শোনা হয়, সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
দল বিরোধী আইনে শাস্তি পাওয়া থেকে বাঁচতে অজিত পাওয়ারের কমপক্ষে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন চাই। বিজেপি সূত্রে খবর, অজিত পওয়ার দাবি করেছেন বিধানসভায় এনসিপির যে ৫৩জন বিধায়ক রয়েছে, তার মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। রবিবার শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এনসিপির নাম ও প্রতীকের উপরও দাবি জানান। ঠিক এক বছর আগে একই দাবি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্য়মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
যদি নিজেকে আসল এনসিপি বলে প্রমাণ করতে চান অজিত পওয়ার, তবে তাঁকে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে হবে। যতক্ষণ অবধি তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না, ততদিন অবধি তিনি ও তাঁর সঙ্গে শিবির বদল করা বিধায়করা দল বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খোয়াতে পারেন।