মুম্বই: একদিকে বাবা, আরেক দিকে খুড়তুতো দাদা, মাঝে আটকে পড়েছেন সুপ্রিয়া সুলে (Supriya Sule)। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে রবিবার ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এক বছর আগে যেভাবে শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির হাত ধরে সরকার গড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এক গুচ্ছ বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার মন্ত্রিসভায় যোগ দিলেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। দীর্ঘদিন ধরেই কাকা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে যে চাপান-উতোর চলছিল, রবিবার তা মুখোমুখি যুদ্ধে পরিণত হল। কাকা-ভাইপোর এই টানাপোড়েনের মাঝে আটকে পড়েছেন এনসিপির নতুন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট সুপ্রিয়া সুলে। গতকাল অজিত পওয়ারের এই সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিয়া জানান, কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, তা খতিয়ে দেখা হবে।
রবিবার রাতে সংবাদ মাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে সুপ্রিয়া সুলে বলেন, “আমার বাবা কখনও ভেদাভেদ করেননি। সকলকে সমানভাবেই গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা আবার নতুন করে দল গড়ার লক্ষ্যে লড়াই করব। যদি বিদ্রোহীরা আবার দলে ফিরে আসে, তবে আমি খুশি হব। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। তবে আমার সঙ্গে অজিত দাদার সম্পর্ক কখনও বদল হবে না।”
অজিত পওয়ারের এই বিদ্রোহে দলের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করেন সুপ্রিয়া সুলে। বরং এতে এনসিপির বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে। রবিবার সকালে অজিত পওয়ারের বাসভবন দেবগিরিতে বসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিয়া সুলেও। সেখানে কী আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, “ওটা পারিবারিক আলোচনা। আমার ও অজিত দাদার মধ্য়ে যা কিছু আলোচনা হয়েছে, তা শুধু আমাদের মধ্যেই থাকবে।”
হঠাৎ এই বিদ্রোহ ও শিবির বদল নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে লোকসভার সাংসদ বলেন, “যা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। অজিত দাদার প্রতি বরাবর শ্রদ্ধা থাকবে আমার। ও সবসময়ই আমার দাদা থাকবে। তবে যে কেউ তাদের ইচ্ছা অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে, কাজ করতে পারে।”