মুম্বই: দলীয় কোন্দলের জের, বাবার তৈরি দলের নাম-প্রতীক সবই হারিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে নয়, শিবসেনা নাম ও দলীয় প্রতীক তীর ধনুক ব্যবহার করতে পারবেন একনাথ শিন্ডে(Eknath Shinde)-র শিবির। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ভালভাবে নেননি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে হাল ছাড়বেন না, বরং লড়াই জারি রাখবেন। তবে উদ্ধবের এই জেদকে সমর্থন করতে নারাজ জোটসঙ্গী এনসিপি(NCP)। সূত্রের খবর, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) শুক্রবারই উদ্ধব ঠাকরেকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
শিবসেনার ঠাকরে শিবিরের সঙ্গে শিন্ডে শিবিরের লড়াই শুরু হয়েছিল দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে শিবসেনা নাম ও দলীয় প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবিরকেই। এই সিদ্ধান্তে উদ্ধব ঠাকরে অখুশি হলেও, বিতর্ক আর বেশি না বাড়ানোরই পরামর্শ দিয়েছেন জোটসঙ্গী এনসিপির প্রধান শরদ পওয়ার। তিনি উদ্ধব ঠাকরেকে বোঝান যে দলের নতুন নাম বা প্রতীকের কারণে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না। সকলের উচিত নতুন প্রতীক ‘জ্বলন্ত মশাল’কে গ্রহণ করে নেওয়া।
এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার বলেন, “এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে, তা নিয়ে আর আলোচনা হতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত মেনে নাও এবং নতুন প্রতীক গ্রহণ করো। এটা (তীর-ধনুক প্রতীক হারানো) বিশেষ কোনও প্রভাব ফেলবে না সাধারণ মানুষের মধ্য়ে, তারা নতুন প্রতীক গ্রহণ করে নেবেন। আগামী ১৫-৩০ দিন এই নিয়ে চর্চা হবে, এইটুকুই।”
কংগ্রেসের ‘জোড়া বলদ’ থেকে ‘হাত’ চিহ্নে পরিবর্তনের উদাহরণ টেনেও উদ্ধব ঠাকরেকে বোঝান শরদ পওয়ার। তিনি বলেন, “আমার মনে আছে, ইন্দিরা গান্ধীকেও একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। কংগ্রেসের আগে প্রতীক ছিল জোড়া বলদ ও হাল। পরে তারা এই প্রতীক হারায় এবং হাত চিহ্নকে নতুন প্রতীক হিসাবে বেছে নেয়। সাধারণ মানুষও সেই প্রতীককে গ্রহণ করেন। একইভাবে এই সিদ্ধান্তও মেনে নেবেন জনগণ।”