নয়া দিল্লি: প্রাচীনকালে চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোটাই আয়ুর্বেদ শাস্ত্র নির্ভর ছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে ফের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার চল বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়ুর্বেদের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করতেই শুক্রবার বিশ্ব অশ্বগন্ধা কাউন্সিলের (World Ashwagandha Council) অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বের ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে যোগ দেন এই বৈঠকে এবং অশ্বগন্ধার (Benefits of Ashwagandha) গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেন। কীভাবে বিশ্বের দরবারে অশ্বগন্ধার গুণাগুণ পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরি (Kailash Chaudhary) বলেন, “ভুল খাবার ও পানীয় পান করার কারণেই আজ আমাদের সবাইকে হাসপাতালে ছুটতে হয়।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সময়ে আমাদের প্রয়োজন এমন সমস্ত খাবার খাওয়ার যা আমাদের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখবে। এই এপিসোডে আমরা অশ্বগন্ধার গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করছি। দেশ-বিদেশ থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসেছেন এই মিশনে সামিল হতে।”
ডঃ গিরিরাজ ত্যাগীও অশ্বগন্ধার ব্য়বহারের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেন। ৫ হাজার বছর পুরনো এই গাছ কীভাবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, তা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে যে আমূল পরিবর্তন এসেছে, তাও তুলে ধরেন তিনি।
অশ্বগন্ধা হল একটি গাছ, যা আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্য়বহার করা হয়। মানসিক চাপ, প্রদাহ, চুল পড়া ও ত্বক সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই গাছ। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই গাছ আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বহু বছর ধরে ব্যবহার করা হয়। উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যা দূর করতেও অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। অশ্বগন্ধার উপাদানগুলি বাজে কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঁটের ব্যাথা ও ফোলা ভাব কমাতে, উঠা-বসার সমস্যা দূর করতেও অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহ বিরোধী উপাদান ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।