নয়া দিল্লি: আবগারি দুর্নীতিতে আরও চাপে মণীশ সিসোদিয়া(Manish Sisodia)। ফের একবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই(CBI)। শনিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানান, রবিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের সদর দফতরে ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনি আরও জানান, দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত তদন্তে এতদিন অবধি সিবিআইয়ের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন এবং আগামিদিনেও তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
শনিবার সকালেই সিবিআইয়ের তলবের কথা টুইট করে জানান মণীশ সিসোদিয়া। তিনি বলেন, “সিবিআই আবার আগামিকাল আমায় ডেকেছে। আমার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডির সমস্ত ক্ষমতা ব্যবস্থা করেছে। আমার বাড়ি তল্লাশি করেছে, ব্য়াঙ্কের লকার তল্লাশি করেছে, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই মেলেনি। আমি দিল্লির শিশুদের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি শুধু। ওরা আমাকে থামাতে চায়। আমি সর্বদাই তদন্তে সহযোগিতা করেছি এবং আগামিদিনেও তা করব।”
सीबीआई ने कल फिर बुलाया है. मेरे ख़िलाफ़ इन्होंने CBI, ED की पूरी ताक़त लगा रखी है, घर पर रेड, बैंक लॉकर तलाशी, कहीं मेरे ख़िलाफ़ कुछ नहीं मिला
मैंने दिल्ली के बच्चों के लिए अच्छी शिक्षा का इंतज़ाम किया है। ये उसे रोकना चाहते हैं।
मैंने जाँच में हमेशा सहयोग किया है और करूँगा.— Manish Sisodia (@msisodia) February 18, 2023
উল্লেখ্য, গত বছরই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, নতুন আবগারি নীতি কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিল আপ সরকার। বিভিন্ন মদ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে লাইসেন্স ফি মকুব করে দেওয়ার মতো নানা সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল মোটা অঙ্কের বিনিময়ে। এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। সিবিআই তাঁর বাড়ি, ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশি চালায়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তিন মাস আগে সিবিআই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করে। তদন্তের জন্য় একাধিকবার মণীশ সিসোদিয়াকে তলব করা হলেও, ওই চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করা ছিল না। সম্প্রতিই এই মামলায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার প্রাক্তন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।