পুণে: ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার কী ভাবে করতে হয়, তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকরীকে (Nitin Gadkari) দেখে শেখা উচিত। পুণের একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভাগ করা নেওয়ার সময় এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমনই উচ্চকিত প্রশংসা করতে শোনা গেল বিরোধী দলের আরেক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তিনি হলেন শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। গডকরীর প্রশংসায় শুধু এটুকু বলে তিনি থেমে যাননি। অন্যদের তুলনায় গডকরী যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেন, সেই বিষয়ে সাধুবাদও জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান। এই অনুষ্ঠান ঘিরেই এমন এক দৃশ্য ধরা পড়ল যা সাম্প্রতিক রাজনীতিতে বিরল হয়ে পড়েছে বলা চলে। বিরোধীদের প্রথম সারির একজন নেতা প্রকাশ্যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাঁর কাজের জন্য ধন্য ধন্য করছেন, এটা আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।
পুণের আহমেদনগরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শরদ পাওয়ার জানান, “আমি এই অনুষ্ঠানে এসেছি কারণ আমায় বলা হয়েছিল, গডকরী বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন যা পথচলা শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে, এবং তিনি চান যেন আমি উপস্থিত থাকি।” বাকিদের সঙ্গে গডকরীর পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে পাওয়ার বলে চলেন, “বেশিরভাগ সময়েই কোনও প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর কোনও কাজই হয় না। কিন্তু কথা যখন গডকরীর প্রকল্প নিয়ে হবে, তখন অনুষ্ঠানের কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” এটুকু বলেই থামেননি পাওয়ার। তাঁর আরও সংযোজন, “একজন জনপ্রতিনিধি কী ভাবে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন গডকরী।”
গডকরী কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজের গতি কী ভাবে বেড়েছে, সে কথাও বলেছেন শরদ পাওয়ার। আমার মনে আছে, গডকরী দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৫,০০০ কিলোমিটারের মতো রাস্তা ছিল। কিন্তু ওঁ এই মন্ত্রকে আসার পর সেটা ১২ হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার এনসিপি-র মন্ত্রী হাসান মাসরুফিকে জল সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। তবে নিত্য দিনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে আজকে দুই বিপরীত মেরুর দলের দুই সদস্যের এই পরস্পর বিরোধিতাকে ছাপিয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলি উঠে আসায় অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্য ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই দুই নেতার এই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা উপভোগ করেন।