মুম্বই : কংগ্রেসের অন্দরে গান্ধী পরবিরাকে নিয়ে চাপা ‘অসন্তোষ’ রয়েছে। এরই মাঝে ইউপিএ চেয়ারপার্সন পদে সনিয়া গান্ধীর থাকা নিয়ে জল্পনা চলছে বহুদিন ধরেই। শিবসেনার তরফে সনিয়ার বদলে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে বসানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। এই আবহে কয়েকদিন আগেই এনসিপির যুব সংগঠনের তরফে একটি রেজোলিউশন পাশ করা হয় যাতে বলা হয় যে ইউপিএ চেয়ারপার্সন পদে শরদ পাওয়ারকে দেখতে চায় তারা। তবে এই রেজোলিউশন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এদিন শরদ পাওয়ার স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এই পদে বসার কোনও আগ্রহ তাঁর নেই।
এদিন শরদ পাওয়ার জানান, তিনি কোনও বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান হবেন না বা ইউপিএ চেয়ারপার্সনও হবেন না। তবে তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি বিরোধী যেকোনও জোটের সঙ্গে কাজ করতে, সেটাকে সাহায্য করতে বা শক্তিশালী করতে রাজি।’ পাশাপাশি শরদ পাওয়ার আরও জানান, বিজেপি বিরোধী কোনও জোট থেকে কংগ্রেসকে বাদ দেওয়া যাবে না। শরদ পাওয়ার এদিন বলেন, ‘বিভিন্ন দল নিয়ে গঠিত বিজেপি বিরোধী কোনও ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেব না আমি।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমি ইউপিএ চেয়ারপার্সন পদে মোটেও আগ্রহী নই। আমি এর মধ্যে যেতে চাই না। তাই এই দায়িত্ব আমি নেব না।’ এদিকে কোলাপুরের অনুষ্ঠানে এদিন শরদ পাওয়ারকে কংগ্রেস প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়। বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের গুরুত্ব প্রসঙ্গে শরদ পাওয়ার দাবি করেন, সারা ভারতে কংগ্রেসের অস্তিত্ব রয়েছে। শরদ পাওয়ার বলেন, ‘আপনি দেশের প্রতিটি গ্রামে, জেলায় এবং রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের খুঁজে পাবেন। বাস্তবতা হল এই যে দেশ জুড়ে কংগ্রেসের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। বিজেপির কোনও বিকল্প জোট গড়তে হলে অবশ্যই কংগ্রেসকে সঙ্গে নিতে হবে।’
এদিকে এদিন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শরদ পাওয়ার। তিনি ইডির বিরুদ্ধে আঙুল তুলে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা চাঁদাবাজি করছে। এনসিপি প্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযানের আগে ও পরে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটা যদি সত্যি হয় এবং সরকার এই সংস্থার উপর কোনও রেশ টানতে না পারে তাহলে কেন্দ্রের দুর্নীতিবাজদের নিয়ে জবাব দেওয়া উচিত সাধারণ জনগণকে।’ এদিকে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সব থেকে বড় ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলছি না যে এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হত না। তবে এখন তো রোজই জ্বালানির দাম বাড়ছে। এটা একটা বড় ইস্যু, তবে সরকার অন্য দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’ পাশাপাশি কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে এদিন শরদ পাওয়ার বলেন, ‘সিনেমাটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখে অন্য সম্প্রদায়ের লোকে রেগে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন : Covaxin : কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ করল WHO, নেপথ্যে কোন কারণ!