‘৫০০ কোটি খোরপোষ চাই’ কয়েক মাসের বিয়ে ভেঙেই আবদার স্ত্রী’র, যা বলল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: আদালত বলেছে, দ্বিতীয় স্ত্রী'র মামলা প্রথম স্ত্রীর থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথম ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে বিবাহিত জীবনযাপন করেছেন ওই দম্পতি।
নয়া দিল্লি: বছর চারেক আগে ভাঙে প্রথম বিয়ে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে সারেন ওই ব্যক্তি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও বর্তমানে আমেরিকায় একটি সফল আইটি কনসালটেন্সি চালান তিনি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মোটা টাকা খোরপোষ দিতে হয়েছিল সেই প্রথম স্ত্রীকে। অঙ্কটা ছিল ৫০০ কোটি। ২০২০ সালের নভেম্বরে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরের বছরেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হয় সেই বিয়ে। এবার সেই একই খোরপোষের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী।
২০২১ সালের ৩১ জুলাই হয় দ্বিতীয় বিয়ে। কয়েক মাস পরই সেই বিয়ে শেষ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী স্থায়ী ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁকেও প্রথম স্ত্রীর সমান খোরপোষ দিতে হবে। স্ত্রী’র সেই দাবি শুনে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ দ্বিতীয় স্ত্রী’র দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত বলেছে, দ্বিতীয় স্ত্রী’র মামলা প্রথম স্ত্রীর থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথম ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে বিবাহিত জীবনযাপন করেছেন ওই দম্পতি। বিচারপতি নাগারত্ন তাঁর ৭৩ পৃষ্ঠার রায়ে লিখেছেন, স্ত্রী যখন স্বামীর আয়, সম্পত্তির ওপর ভিত্তি করে খোরপোষ চায়, তাতে আমার আপত্তি আছে।
আদালত উল্লেখ করেছে যে ভরণপোষণ দেওয়ার উদ্দেশ্য হল, ডিভোর্সের পর স্ত্রী যাতে অভাবে না দিন কাটান, তিনি যেন তাঁর মর্যাদা বজায় রাখতে পারেন। ডিভিশন বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে যে বিবাহিত অবস্থায় একজন স্ত্রী যেভাবে জীবনযাপন করতেন, তিনি যেন সেভাবেই বাকি জীবনটা কাটাতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, বিচ্ছেদের পর কারও স্বামী যদি দুর্ভাগ্যবশত অভাবের মুখ দেখেন, তাহলেও কি স্ত্রী সম্পত্তি অনুযায়ী কম খোরপোষ দাবি করবে?
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় স্ত্রীকে ১২ কোটির ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওটাই উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়েছে। আদালত স্পষ্ট বলেছে যে ভরণপোষণের উদ্দেশ্য হল সামাজিকতা এবং মর্যাদা রক্ষা করা।