পটনা: ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৪ জুন এই পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর থেকে, দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৭ জন শিক্ষার্থী ৭২০ নম্বরই পেয়ে প্রথম হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন হরিয়ানার একই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে। তবে, এরই মধ্যে নিট অনিয়মের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বিহার। ইতিমধ্যেই, বিহার পুলিশ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্ধান পেয়েছে, যারা ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিট পরীক্ষার আগের দিনই এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উত্তর-সহ হতে পেয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কীভাবে বিহারে নিট পরীক্ষায় কারচুপি চলছিল? ধরা পড়েছে এই জালিয়াতিতে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের স্কোরকার্ডেই।
বিহারের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে নিটের প্রশ্নপত্র কেনার মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার ছাত্রের অন্যতম, অনুরাগ যাদব। পুলিশের সামনে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, রাজস্থানের কোটা তিনি মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর কাকা তাঁকে সমস্তিপুরে ফিরে আসতে বলেছিলেন। কাকা জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। তাকপর, নিট পরীক্ষার আগের রাতেই তার হাতে চলে এসেছিল এই পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সেগুলির উত্তর। সেগুলি মুখস্ত করে নিতে বলা হয়েছিল তাঁকা। এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুরাগের নিট পরীক্ষার স্কোরকার্ড বলছে, সে ৭২০-র মধ্যে ১৮৫ নম্বর পেয়েছে। তার মোট পার্সেন্টাইল স্কোর হল ৫৪.৮৪। পদার্থবিদ্যায় সে পেয়েছে ৮৫.৮ শতাংশ নম্বর। জীববিজ্ঞানে পেয়েছে ৫১ শতাংশ নম্বর। কিন্তু রসায়নে মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এক রাতে পদার্থবিদ্যা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের উত্তরগুলি মুখস্ত করতে পারেনি সে।
85 In Physics, 5 In Chemistry: Scorecard Of NEET Aspirant #NEET #neetreexam #NEET_परीक्षा #NEET_परीक्षा_परिणाम #NET #UGC #ntajawabdo #NTA_ही_अपराधी #rahulgandhi pic.twitter.com/3kdRoAyBFS
— Moazzam Ali Siddiqui (@MoazzamTweet) June 20, 2024
বিহারে গ্রেফতার হওয়া আরও একজন হলেন সিকন্দর যাদবেন্দু। তিনজন ওবিসি ক্যাটেগরির শিক্ষার্থীর কাছে নিটের প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছিল সে। তাদের একজন ৭২০-র মধ্যে ৩০০ নম্বর পেয়েছে, শতকরা ৭৩.৩৭। ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের নম্বর দেখলে কিন্তু চমকে যেতে হবে। জীববিজ্ঞানে সে পেয়েছে ৮৭.৮ শতাংশ। পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে তাঁর নম্বর যথাক্রমে ১৫.৫ এবং ১৫.৩ শতাংশ। অন্য দুই শিক্ষার্থী অবশ্য তিনটি বিষয়েই ভালো ফল করেছে। তারা পেয়েছে যথাক্রমে ৫৮১ এবং ৪৮৩ নম্বর।