নয়া দিল্লি: শ্রমিকদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় সরকার ই-শ্রম পোর্টাল তৈরি করেছে। এই পোর্টালে অনেকগুলি নতুন ফিচার আপডেট করা হয়েছে। এই নতুন ফিচারগুলি বিশেষভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। এর ফলে, পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের মহিলারা অনেকগুলি সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, অন্যদিকে তাদের সন্তানদের শিক্ষারও কোনও ক্ষতি হবে না। সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এই পোর্টালে এই নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি যুক্ত করেছেন। এখন এই পোর্টালে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের পরিবারের বিশদ বিবরণও দিতে পারবেন।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন
শ্রম মন্ত্রকের মতে, এখন ই-শ্রম পোর্টালে নিবন্ধিত শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এর সাহায্যে, তারা যদি তাদের দক্ষতা বাড়াতে চান, কোথাও শিক্ষানবিশি করতে চান বা পেনশন স্কিম, ডিজিটাল দক্ষতা এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তাহলে তারা ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমেই তারা তা করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এখন ই-শ্রম পোর্টালে ইউটিলিটি সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য নিবন্ধন সহজ করা হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের বিস্তারিত নিবন্ধন
এখন ই-শ্রম পোর্টালে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের পারিবারিক তথ্যও দিতে পারবেন। এই বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রদানে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে মহিলাদের জন্য পরিচালিত সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে। একই সময়ে, যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা সপরিবারে ঘর ছেড়েছেন, তারাও এই বৈশিষ্ট্যটি থেকে উপকৃত হবেন।
নির্মাণ শ্রমিকরা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
ই-শ্রম পোর্টালে নির্মাণ শ্রমিকদের তথ্য আদান-প্রদানের আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এই তথ্যগুলি নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা বোর্ডগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে। শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ কল্যাণ বোর্ডে নিবন্ধিত করা হবে। যাতে, তাদের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছতে পারে। এর সঙ্গে, একটি তথ্য ভাগ করে নেওয়ার পোর্টালও চালু করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গে ই-শ্রম তথ্য ভাগ করার জন্য কার্যকর হবে এই পোর্টাল। এই তথ্যের সাহায্যে, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত স্কিম, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ইত্যাদি তৈরিতে সহায়তা করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ অগস্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ই-শ্রম পোর্টালটি চালু করেছিল। এর উদ্দেশ্য দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার তৈরি করা। বর্তমানে, এতে নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ২৮ কোটি ৮৭ লক্ষেরও বেশি।