পুদুচেরি: সংখ্যাগরিষ্ঠতা পরীক্ষায় সোমবারই আস্থা ভোটের মুখে পড়তে চলেছে পুদুচেরি সরকার, এমনটাই জানালেন সদ্য উপ রাজ্যপালের ভারপ্রাপ্ত তামিলিসাই সুন্দররাজন (Tamilisai Soundararajan)। সম্প্রতি কংগ্রেসের চার বিধায়ক ইস্তফা দিতেই কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। রাতারাতি উপ রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারিত করা হয় কিরণ বেদী (Kiran Bedi)-কে। গতকালই উপ রাজ্যপালের দায়িত্ব নেন সুন্দররাজন। এরপরই বৃহস্পতিবার তিনি আস্থাভোটের কথা ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে নির্বাচনের পর পুদুচেরির বিধানসভায় মোট ৩০টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে। ডিএমকে ও নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে ম্যাজিক ফিগার ১৬ পার করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু গত মাস থেকেই একের পর এক বিধায়ক পদত্যাগ করতেই সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। চার বিধায়কের ইস্তফায় এখন পুদুচেরিতে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ১১ জন। যার ফলে নির্বাচনের আগেই বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে সরকার।
এরপরই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করে উপ রাজ্যপালের পদ থেকে কিরণ বেদীকে সরানো হয়। উপ রাজ্যপালের অপসারণকে সমর্থন জানালেও মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর তত্ত্ব মানতে নারাজ। এদিকে বিজেপির তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে।
বিধানসভার আসন সংখ্যা ৩০ থেকে কমে ২৮ হলেও চার বিধায়কের পদত্যাগের পর বর্তমানে শাসক ও বিরোধী দুই দলের কাছেই ১৪টি আসন রয়েছে। বিধানসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মর্যাদা লাভ করতে হলে প্রয়োজন ১৫টি আসনের। আপাতত সোমবারের আস্থা ভোটের উপরই নির্ভর করছে পুদুচেরি বিধানসভার ভাগ্য।
আগামী মে মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বিধায়ক পদত্যাগে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গতকাল পুদুচেরিতে নির্বাচনী প্রচারে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধীও।
আরও পড়ুন: অমিতাভ-অক্ষয়ের মুখে কুলুপ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে, শুটিং বন্ধের হুমকি কংগ্রেস নেতার