মুম্বই: দাউদের গ্যাংকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিগত কয়েক মাস ধরেই মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। চলতি মাসের শুরুতেই ২০ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। এবার গ্রেফতার করা হল ছোটা শাকিলের দুই সঙ্গীকে। উল্লেখ্য, দাউদের অন্যতম সহকারী ছোটা শাকিল। জানা গিয়েছে, দুই ব্যক্তিই ডি-কোম্পানির বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। মুম্বইয়ের পশ্চিম শহরতলিতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপেও আর্থিক সহায়তা করত তারা।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম আরিফ আবুবকর শেখ (৫৯) ও শাব্বির আবুবকর শেখ (৫১)। এনআইএ-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদতও দিত তারা। আজ, শুক্রবারই তাদের এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গোটা সিন্ডিকেট দাউদের গ্যাংই পরিচালন করে। সীমান্তের ওপার থেকে গোটা কার্যকলাপ পরিচালন করে। ইতিমধ্যেই ২১ জন ব্যক্তিকে তলব করা হয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই এনআইএ মুম্বইয়ের ২৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র, রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত নথি, নগদ টাকা ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে এই সামগ্রীগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও মুম্বই সহ একাধিক জেলার ২৯টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
তদন্তকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, ছোটা শাকিলের শ্যালক সালিম কুরেশি, সুহেল খান্দওয়ানি মাহিম ও হাজি আলি দরগার ট্রাস্ট্রের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের উপরে কড়া নজর রাখছে এনআইএ। এছাড়া বলিউড প্রযোজক তথা ১৯৯৩ সালে মুম্বই গণ বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সমীর হিন্গোরানি, হাওয়ালা অপারেটর আব্দুল কায়ুম, অজয় ঘোষালিয়া সহ একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপরও নজরদারি চালানো হচ্ছে।