লখনউ: ফোনই তাঁর হাতিয়ার। সারাদিন ধরে বসে ফোন করে ক্রমাগত জ্বালাতন করতেন মহিলাদের। রাজ্য়ের ৩৬টি জেলায় প্রায় ১০০-রও বেশি মহিলাকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিতেন তিনি। তাঁর এই কাণ্ডই পুলিশের চোখে ‘ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ বানিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও ১০৯০ হেল্পলাইনের একটি দল মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কৌসাম্বিতে।
সম্প্রতিই এক মহিলা রাজ্যের মহিলা হেল্পলাইন ১০৯০ -তে ফোন করে অভিযোগ জানান যে এক ব্য়ক্তি ফোন করে অশালীন কথাবার্তা বলছেন এবং কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাজ্যের ৩৬টি জেলা মিলিয়ে মোট ১১৩ জন মহিলা বিগত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই ১০৯০ হেল্পলাইনের টিম ওই ফোন নম্বরের উপরে নজরদারি করতে শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি বারংবার সিম কার্ড পরিবর্তন করতেন। সময় অনুযায়ী জায়গাও বদল করতেন। শেষ অবধি পুলিশ লোকেশন ট্র্যাক করে দেখেন উত্তর প্রদেশের সাইনি গ্রামে রয়েছেন তিনি। এরপর স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয় এবং তাদের সহযোগিতাতেই অভিযুক্তকে গ্রামের বাইরের একটি মাঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রবীন্দ্র কুমার মৌর্য্য। তিনি উন্নাও, কানপুর, আম্বেদকর নগর, প্রতাপ নগর, প্রয়াগরাজ, রায় বরেলি, হারদোই, সুলতানপুর, মির্জাপুর, গোরক্ষপুর, আমেথি, গাজিপুর, আজমগড়, কৌসাম্ব সহ মোট ৩৬টি জেলার ১০০-রও বেশি মহিলাকে ফোন করে অশালীন কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দিতেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৪১৯, ৪২০, ৬৮, ৬৭, ৭১ ও ২৯৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কীভাবে তিনি ওই মহিলাদের নম্বর জোগাড় করতেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবেই বা তিনি সিমকার্ড জোগাড় করতেন এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে এই কাণ্ড ঘটাতেন, তাও জেরায় জানার চেষ্টা করা হয়।