প্রায় এক সপ্তাহ আগে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলায় একই পরিবারের ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে আত্মহত্যা নয়। বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছিল ওই পরিবারের লোকেদের। সেই খুনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রের সোলাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের কারণ হিসাবে পুলিশ জানিয়েছে, গুপ্তধন খুঁজে দেবে বলে ওই পরিবারের লোকেদের থেকে ১ কোটি টাকা নিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু ওই পরিবারের লোকেরা যখন বুঝতে পারেন, গুপ্তধন পাওয়া সম্ভব নয়, তখন টাকার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চাপ দিতে থাকে। সেই টাকা ফেরত দেবেন না বলেই পরিবারের সকলকে খুন করেন ২ জন। তার পর আত্মহত্যার গল্প ফাঁদেন।
সাঙ্গলি জেলার মৈশাল শহরে দুই ভাই-সহ একই পরিবারের ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই পরিবারের দুই ভাইয়ের থেকে এক কোটি টাকা নিয়েছিলেন মহম্মদ বাগওয়ান ও ধীরাজ সুরভাসে। গুপ্তধন খুঁজতে সাহায্য করবেন বলেই ওই টাকা তাঁরা নিয়েছিলেন বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন অভিযুক্তরা। রীতিমতো ধার করে এই টাকা অভিযুক্তদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দুই ভাই। মাস খানেক যেতেই গুপ্তধনের ভূত মাথা থেকে নামে দুই ভাইয়ের। তাঁরা বুঝতে পারেন গুপ্তধন পাওয়া সম্ভব নয়। তখনই অভিযুক্তদের থেকে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। সেই টাকা যাতে ফেরত না দিতে হয়, সে জন্যই ওই পরিবারের লোকেদের খুন করেন অভিযুক্তরা। বাড়ির খাবার এবং পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়েই খুন করেছিল বলে স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের মধ্যে এক জন শিক্ষকতা করতেন এবং অপর জন চিকিৎসক ছিলেন।