নয়া দিল্লি: তৃণমূলের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল তরজা লোকসভায়। “গরিব মানুষের টাকা পার্টি কর্মীদের পকেটে গিয়েছে,তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এদের এত অসুবিধা”, বলে তীব্র আক্রমণ সীতারমনের। শুধু তাই নয়,দুর্নীতি হলে টাকা দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। তিনি এও বলেন, “যাঁরা দুর্নীতি করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করুক। আমরা টাকা দিতে তৈরি।” পাল্টা তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “যেখানে দুর্নীতি হয়েছে সেখানে তদন্ত হোক, টাকা আটকানো হোক। কিন্তু পুরো রাজ্যে টাকা আটকানো উচিত নয়।”
সংসদে নির্মলা সীতারমন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তর্ক-বিতর্ক এক নজরে…
নির্মলা সিতারমন: গ্রামীণ আবাস যোজনায় ২০১৬ থেকে ২৫০০০ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ করা হয়েছে। এরপর সেখানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টিম পাঠিয়েছিল। তাঁরা খতিয়ে দেখে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেছিল। ‘Action taken report’ (কী পদক্ষেপ করেছে) চাওয়া হয়েছে।
নির্মলা সিতারমন: মনরেগায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। নিয়ম মানে হচ্ছে না।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রিপোর্ট চেয়েছিল। রাজ্য সরকার সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: যদি কোথাও কোনও বেনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেখানে তদন্ত হোক। একটা দুটো জায়গার জন্য পুরো রাজ্যের টাকা আটকানো হচ্ছে। এক লক্ষ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যেখানে দুর্নীতি হয়েছে সেখানকার টাকা আটকানো হোক। কিন্তু পুরো টাকা আটকানো উচিত নয়।
নির্মলা সীতারমন: আমরা সারা দেশের টাকা আটকায়নি। যেখানে দুর্নীতি হয়েছে সেখানে টাকা আটকেছি। আমরা কি ভুল করেছি?
কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেটা আমি কী করে ঠিক করব! যখন আমরা অ্যাডভান্সের টাকা দিচ্ছি, সেখানেও আমাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হচ্ছে। কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা রাজ্য সরকার ঠিক করুক, পদক্ষেপ করুক। আমরা টাকা দিতে তৈরি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: ক্ষুধার্ত মানুষ কাঁদছেন
নির্মলা সীতারমন: গরিবের পয়সা পার্টি কর্মীদের হাতে যাচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এদের এত অসুবিধা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় টিম কোথাও নিজেরা যায় না, স্টেটের টিমের সঙ্গেই আমরা যাই। যেখানে দুর্নীতি হয়েছে সেখানে আমরা থাকব না। গরিব মানুষের টাকা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।