করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ‘ডেঞ্জার জ়োনে’ কি কচিকাঁচারা? কী বললেন এইমসের ডিরেক্টর…

ঋদ্ধীশ দত্ত |

May 24, 2021 | 7:36 PM

শিশুদের শরীরে হওয়া সংক্রমণের ৯০ শতাংশই উপসর্গহীন বা অতি সামান্য উপসর্গের। যদিও এই ক্ষেত্রে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, যেসব শিশুরা উপসর্গহীন তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ডেঞ্জার জ়োনে কি কচিকাঁচারা? কী বললেন এইমসের ডিরেক্টর...
ছবি- পিটিআই

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় নাকানিচোবানি খাওয়া শেষ হয়নি দেশবাসীর। এখন থেকেই আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর সেই ঢেউয়ে নাকি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে শিশুরা। এমন দাবি ইতিমধ্যেই নানা মহল থেক উঠতে শুরু করেছে। তবে এ দিন তেমন কোনও সম্ভাবনার কথা কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর এবং খ্যাতনামা চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখনও এমন কোনও প্রমাণ নেই যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি প্রভাবিত হবে।

গুলেরিয়া এ দিন জানিয়েছেন, করোনার দুই ঢেউতেই শিশুদের শরীরে অল্প-বিস্তর সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এখনও এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যাতে মনে হয় যে পরবর্তী ঢেউ শিশুদের বেশি আক্রান্ত করবে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটাই মনে হয় যে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। যদি সংক্রমণ হয়েও থাকে, তার প্রভাব বেশি হচ্ছে না। শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম এবং দ্বিতীয়, উভয় ঢেউতেই এই ভাইরাস নিজের চরিত্র বজায় রেখেছে। ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।” এ ক্ষেত্রে মূলত ২-১৮ বছর বয়সীদের কথাই বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: টিকা রেজিস্ট্রেশনের নিয়মে বদল, সহজে ভ্যাকসিন দিতে বিকল্প ব্যবস্থা কেন্দ্রের

একই সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব লভ আগরওয়ালের কণ্ঠেও। তিনি সোমবার বলেন, “করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করার পর আমার মনে হয়, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত এবং অসুস্থ হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় তাঁরাই রয়েছেন যাঁরা ৬০ উর্ধ্ব এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে।” কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শিশুদের শরীরে হওয়া সংক্রমণের ৯০ শতাংশই উপসর্গহীন বা অতি সামান্য উপসর্গের। যদিও এই ক্ষেত্রে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, যেসব শিশুরা উপসর্গহীন তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।

উল্লেখ্য, এ দিনই আবার ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের পক্ষ থেকে শিশুদের শরীরেও কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে।

আরও পড়ুন: বাংলার নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে নালিশ ২০৯৩ মহিলা আইনজীবীর

Next Article