Supreme Court on Vaccination: করোনার ভ্যাকসিন নিতে কেউ বাধ্য নন: সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court on Vaccination: ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
নয়া দিল্লি: কেউ যদি ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে না চান, তাহলে তাঁকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা যাবে না। সোমবার কেন্দ্রকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এও উল্লেখ করেছে যে বিভিন্ন ভ্যাকসিন নেননি এমন মানুষকে বিধি-নিষেধের আওতায় রাখা ঠিক নয়। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল আদালতে। ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ড. জেকব পুলিয়েল। সোমবার বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাই-এর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
‘কাউকে বাধ্য করা যাবে না’
News9- এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২১ তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিজের শরীরে কী করা হবে বা হবে না, সেই অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে। তাই বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইনে টিকাপ্রাপ্ত নয় এমন মানুষের ওপর বিধি-নিষেধ থাকা উচিত নয় বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন না নিলে সব জায়গায় যাওয়া যাবে না, এমন নির্দেশিকা রয়েছে অনেক রাজ্যেই। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছে আদালত। ভ্যাকসিন প্রাপ্ত মানুষের তুলনায় ভ্যাকসিন প্রাপ্ত নয় এমন মানুষের থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়, এমন তথ্য সরকার সামনে আনেনি বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য প্রকাশ করতে হবে’
আবেদনকারী সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার কথা বলেছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওযা হয়েছে যাতে ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট যাতে সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসক প্রত্যেকের কাছেই পৌঁছয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এ ছাড়া ট্রায়ালে কী ফল পাওয়া গিয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্টও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অবিলম্বে এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে কেন্দ্রকে।
কী বলছে কেন্দ্র?
আবেদনকারী আগে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন -এর সদস্য ছিলেন। তিনিই কেন্দ্রের টিকাকরণের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বজায় রাখা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে এ দিন আদালতে বলা হয়, আবেদনকারী জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কথা বলেছেন। এর ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন বলেও দাবি কেন্দ্রের। এ দিকে, আদর পুনাওয়ালার সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট ও অপর সংস্থা ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ট্রায়াল সংক্রান্ত সব তথ্যই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ইতিমধ্যে। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র বা মধ্য প্রদেশে করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: Prashant Kishor : কুশলীর ‘জব’ ছেড়ে এবার জননেতা? বিহার থেকে যাত্রা শুরুর ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোরের