Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prashant Kishor : কুশলীর ভূমিকা ছেড়ে এবার জননেতা? বিহার থেকে যাত্রা শুরুর ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোরের

Prashant Kishor : কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর জল্পনা ছড়ায়, প্রশান্ত কিশোরের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? সেই জল্পনাই আরও বাড়িয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের আজকের টুইট।

Prashant Kishor : কুশলীর ভূমিকা ছেড়ে এবার জননেতা? বিহার থেকে যাত্রা শুরুর ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোরের
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 1:32 PM

নয়া দিল্লি : আলোচনার জল অনেকদূর গড়িয়েছিল। কিন্তু, দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের হাত ধরেননি তিনি। কেন কংগ্রেসে যোগ দিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই নতুন জল্পনা বাড়ালেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে আজ তিনি টুইটে লিখেছেন, এবার প্রকৃত মাস্টারদের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে। আর সেই প্রকৃত মাস্টাররা হলেন জনগণ। পথ চলা শুরু করতে চান বিহার থেকে। তাঁর টুইটের পরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিজে রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন প্রশান্ত কিশোর?

টুইটে কী লিখেছেন এই ভোটকুশলী?

প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, “গণতন্ত্রের অংশ হয়ে উঠতে এবং মানুষের জন্য নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে আমার অনুসন্ধান ১০ বছর ধরে চলল। এবার প্রকৃত মাস্টারদের অর্থাৎ জনগণের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে। ইস্যুগুলি আরও ভাল করে বোঝার জন্য তাঁদের কাছে যেতে হবে।” এই টুইটে তিনি ‘জন সূরজ’ শব্দটি লিখেছেন। অর্থাৎ জনতার সূর্য। আর জনতার সূর্য বলতে বুঝিয়েছেন মানুষের সুশাসন। আর এর শুরু বিহার থেকে হচ্ছে জানিয়ে টুইট শেষ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।

ভোটকুশলী হিসেবে বছর পঁয়তাল্লিশের প্রশান্তের সাফল্য নজরকাড়া। ২০১২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদীর ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। মোদী গুজরাটের মসনদে ফের বসেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তাতেও প্রশান্তের মুকুটের সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে। এরপর ২০১৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের হয়ে ভোটকুশলীর কাজ করেন। ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ।

২০১৭ সালে কংগ্রেসের হয়ে পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে ভোটকুশলীর কাজ করেন তিনি। পঞ্জাবে কংগ্রেস জিতলেও উত্তর প্রদেশে হারতে হয় দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলকে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তৃণমূল কংগ্রেসও। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটকুশলী হিসেবে এরকম সাফল্যের পর প্রশান্তর রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে একাধিকবার। বছর চারেক আগে নীতীশের দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ১৬ মাস পর নীতীশের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে জেডিইউ থেকে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে পারে বলেও একসময় জল্পনা ছড়িয়েছিল। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। গত এক মাস ধরে জল্পনা চলছিল, কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর একাধিক বৈঠক হয়। খুব শীঘ্রই প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে জল্পনা বাড়ে। কিন্তু, কয়েকদিন আগে টুইট করে তিনি জানিয়ে দেন, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে ‘বিনীত পরামর্শ’ দিয়ে বলেন, তাঁর থেকেও কংগ্রেসের প্রয়োজন সবল নেতৃত্ব ও সম্মিলিত সদিচ্ছা।

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর জল্পনা ছড়ায়, প্রশান্ত কিশোরের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? সেই জল্পনাই আরও বাড়িয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের আজকের টুইট।

প্রশান্ত কিশোর বিহারের ভূমিপুত্র। তাঁর জন্ম বিহারের রোহতাস জেলার সাসারামে। সেজন্যই কি তিনি বলছেন, বিহার থেকে শুরু হোক পথচলা? তিনি কি নিজে রাজনৈতিক দল গঠন করবেন? নাকি বিরোধী জোটে যোগ দেবেন। জল্পনা বেড়েই চলছে।

আরও পড়ুন : Meeting at Nabanna: নবান্নে বসছে জরুরি বৈঠক, কোন কোন বিষয় থাকবে নজরে?