নয়াদিল্লি: ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করতে হলে কী বিধি আরোপিত হবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর সে ব্যাপারে জানালেন মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র প্যানেলের প্রধান এম জগদীশ কুমার। বৃহস্পতিবার তিনি এ সংক্রান্ত বিধির ব্যাপারে জানিয়েছেন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই-কে। জগদীশ জানিয়েছেন, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে চাইলে প্রথমেই তাঁদের ইউজিসি-র কাছে ছাড়পত্র নিতে হবে। ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার যে সমস্ত নিয়ম আছে, তা মেনে চলতে হবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রাথমিক ছাড়পত্র দেওয়া হবে ১০ বছরের জন্য। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের জন্য ‘সেটিং আপ অ্যান্ড অপারেশন অব ক্যাম্পাসেস অব ফরেন হায়ার এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন ইন ইন্ডিয়া’র ড্রাফ্টও’ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
ইউজিসি-র ছাড়পত্রের পাশাপাশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার মাধ্যম কী হবে সে ব্যাপারেও জানিয়েছেন ইউজিসি-র ওই কর্তা। এ ব্যাপারে জগদীশ জানিয়েছেন, এ দেশে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পূর্ণ সময়ের কোর্স পড়াতে হবে। পাশাপাশি অফলাইন মোডে সেই পাঠক্রম চালাতে হবে। অনলাইনল ডিগ্রি বা ডিসট্যান্স লার্নিংয়ের অনুমতি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জগদীশ। তবে ক্লাসের পদ্ধতির ব্যাপারে বিধিনিষেধের বিষয়টি তুললেও, পড়ুয়া ভর্তির ব্যাপারে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধীনতা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ওই ইউজিসি কর্তা জানিয়েছেন, ভর্তির প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার মান যাতে বজায় রাখে, সে ব্যাপারেও ইউজিসি-র নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন জগদীশ। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে মানের পড়াশোনা হয়, সেই মানের পড়াশোনা ভারতের ক্যাম্পাস করাতে হবে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফান্ডের বিষয়টি নিয়েও জানিয়েছেন ইউজিসি প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ফরেন দ্য এক্সচেঞ্জ ম্যানেডমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে বিদেশি ফান্ডের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ মাসের শেষে চূড়ান্ত বিধি নিষেধের বিষয়টি প্রকাশ করা হবে জানিয়েছেন তিনি।