নয়া দিল্লি: সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই সংসদের উভয় কক্ষে কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল পাশ করেছে কেন্দ্র। আইন প্রত্যাহার হলে আন্দোলনের সময় মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংসদে জানিয়েছেন, দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের কারণে কৃষক মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে নেই।
মৃত কৃষকদের পরিবারে জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান সংক্রান্ত বিরোধীদের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে এই সংক্রান্ত কোন তথ্য ও পরিংসখ্যান নেই তাই এই প্রশ্নের কোনও অবকাশ নেই।” কৃষক নেতা তথা কৃষক সংগঠনগুলির দাবি ছিল, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে তিনটি কৃষি আইন পাশের প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত মোট ৭০০ জন কৃষক মারা গিয়েছিলেন। মূলত আবহাওয়া, সংক্রমক রোগ ও আত্মহত্যার কারণেই এই মৃত্যু গুলি ঘটেছিল বলেই তারা জানিয়েছিলেন।
আইন প্রত্যাাহারের পরেও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে লড়াই করা কৃষকদের দাবি, সরকারকে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতেই হবে এবং তাদের বাকি দাবি গুলিও সরকারকে মেনে নিতে হবে। সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও এখনই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসতে নারাজ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তারা জানিয়েছে, নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পাওয়া অবধি তাদের এই আন্দোলন চলবে। এর পাশাপাশি আন্দোলনের সময় তাদের ওপর পুলিশেক কাছে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা গুলি প্রত্যাহারের দাবিতেও সরব হয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি সরকার মেনে নেওয়ার পরেও, বিতর্ক যেন কিছুতেই থামতেই চাইছে না। ‘কৃষকরা মাঠে ফিরুক’ এই যুক্তি দিয়েই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Repealing Farm Laws) সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। গত ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জন্ম জয়ন্তীর দিন, খানিক আকস্মিকভাবেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Repealing Farm Laws) কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বিবৃতি প্রকাশ করে কৃষক সংগঠনগুলির প্রধান সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছিল, সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা স্বাগত জানালেনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি নিয়ে তাঁরা অনড় এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত আংশিক জয় হিসেবেই দেখেছিল কৃষক সংগঠন গুলি।