Train: সুড়ঙ্গ দিয়ে এঁকে-বেঁকে ছোটে, এই ট্রেনে চড়তে লাগে না কোনও টিকিট! দেশের অন্দরেই এই রেল রুট সম্পর্কে জানেন?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 21, 2024 | 12:26 PM

Train News: ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, এই ট্রেন বিগত ৭৫ বছর ধরে চলছে। ব্রিটিশ আমলের এই ট্রেন চড়লে অন্য এক অনুভূতি হবে। ট্রেনের তিনটি কামরাই কাঠের তৈরি। আগে স্টিম ইঞ্জিনে চললেও, ১৯৫৩ সালে তা পরিবর্তন করে ডিজেল ইঞ্জিনে পরিবর্তিত করা হয়।

Train: সুড়ঙ্গ দিয়ে এঁকে-বেঁকে ছোটে, এই ট্রেনে চড়তে লাগে না কোনও টিকিট! দেশের অন্দরেই এই রেল রুট সম্পর্কে জানেন?
ফাইল চিত্র।
Image Credit source: X

Follow Us

নয়া দিল্লি: টিকিট ছাড়া ওঠা যায় না ট্রেনে। দূরপাল্লারই হোক বা লোকাল ট্রেন, সফরে বাধ্যতামূলক টিকিট। কিন্তু আপনি জানেন কি, ভারতীয় রেলওয়ের এমন একটি ট্রেন রয়েছে, যেই ট্রেনে চড়তে কোনও টিকিট লাগে না। ওঠে না কোনও টিটিই-ও। কোন ট্রেন এটি জানেন?

১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, এই ট্রেন বিগত ৭৫ বছর ধরে চলছে। সেই ট্রেনে চড়তেই কোনও টিকিট লাগে না।  পঞ্জাব থেকে হিমাচল প্রদেশকে জুড়ে, ভাকরা থেকে নাঙ্গাল পর্যন্ত চলে এই ট্রেন। ছবির মতো সাজানো ওই রেল রুটে সুতলেজ নদীর উপর দিয়ে যেমন ট্রেনটি ছোটে, তেমনই শিবালিক পর্বতের গা ঘেঁষেও যায়। যাত্রাপথে তিনটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যায় ট্রেনটি। মোট ৬টি স্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি।

ব্রিটিশ আমলের এই ট্রেন চড়লে অন্য এক অনুভূতি হবে। ট্রেনের তিনটি কামরাই কাঠের তৈরি। আগে স্টিম ইঞ্জিনে চললেও, ১৯৫৩ সালে তা পরিবর্তন করে ডিজেল ইঞ্জিনে পরিবর্তিত করা হয়। আরও একটি মজার তথ্য, এই ট্রেন কিন্তু ভারতীয় রেলওয়ে পরিচালিত নয়। ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড এই ট্রেন চালায়।

১৯৪৮ সালে ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ তৈরির জন্যই এই রেললাইন তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে শ্রমিক ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ট্রেন চালানো হত। তবে বাঁধ নির্মাণের পরও রেল রুট চালু রাখা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য। আর সেই কারণেই এই ট্রেনে কোনও টিকিট লাগে না। থাকে না টিকিট পরীক্ষকও।

Next Article