Extra Marital Affair: মুম্বইয়ের মতো ঝাঁ-চকচকে শহর নয়, পরকীয়ায় সবথেকে এগিয়ে এই ছোট্ট শহর! নাম জানলে চমকে যাবেন…
Extra Marital Affair: সমীক্ষায় ৫৩ শতাংশ ভারতীয়ই স্বীকার করেছেন যে তারা পরকীয়ায় লিপ্ত। মুম্বইয়ে পরকীয়া কমলেও, জয়পুর, রায়গড়, কামরূপ ও চণ্ডীগঢ়ের মতো শহরে পরকীয়া উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

নয়া দিল্লি: সম্পর্কে হারাচ্ছে বিশ্বাস, পরকীয়ায় মজে একটা প্রজন্মের বড় অংশের মানুষ। নাহ, এই কথা আমরা বলছি না, বলছে সমীক্ষা। সম্প্রতি সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। এবং তাতে এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা দেখে আঁতকে উঠবেনই।
অ্যাসলি ম্যাডিসন নামক একটি গ্লোবাল ডেটিং প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। জুন মাসের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পরকীয়া হঠাৎ অনেক কমে গিয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে। গত বছর যেখানে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল মুম্বইয়ের নাম, এবার তা পরকীয়ায় প্রথম ২০টি শহরের মধ্যেও নেই!
তবে আসল চমক তো রয়েছে অন্য জায়গায়। দেখা গিয়েছে, পরকীয়ায় বড় বড় মেট্রো শহরগুলি নয়, বরং এগিয়ে দক্ষিণী রাজ্যের ছোট শহর। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে সবথেকে বেশি পরকীয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালে এই ছোট্ট শহর পরকীয়ায় দেশের মধ্যে ১৭ তম স্থানে ছিল, এ বছর বিরাট লাফ দিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় ৫৩ শতাংশ ভারতীয়ই স্বীকার করেছেন যে তারা পরকীয়ায় লিপ্ত। মুম্বইয়ে পরকীয়া কমলেও, জয়পুর, রায়গড়, কামরূপ ও চণ্ডীগঢ়ের মতো শহরে পরকীয়া উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
পরকীয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে মধ্য়বিত্তরাই, যারা সামাজিক চাপ এবং ব্যক্তিগত চাহিদার মাঝে নিয়মিত পিষে যাচ্ছেন এবং খোলা বাতাসের খোঁজে পরকীয়ার আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখানেই মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে বর্তমানে সম্পর্ক অনেক খোলামেলা।
শুধুমাত্র ডেটিং অ্যাপে সাইন-আপ দিয়ে নয়, কতজন সেই অ্য়াপে সক্রিয়, অচেনা-অজানা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন, তাও সমীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। আর এতেই দেখা গিয়েছে, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় মেট্রো শহরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইউজার বেস থাকলেও, তাদের মধ্যে আলাপচারিতা অনেকটাই কম। তাই পরকীয়ার তালিকাতেও তাদের স্থান নীচে নেমে এসেছে। তালিকায় উল্লেখ নেই কলকাতার নাম।
আবার এটাও মনে করা হচ্ছে যে মুম্বইয়ের বাসিন্দারা হয়তো আর ডেটিং অ্যাপের উপরে নির্ভরশীলতা কমে গিয়েছে। তাদের সামনে এখন একাধিক পথ রয়েছে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার, গোপন সম্পর্ক তৈরি করার।
প্রসঙ্গত, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও সামাজিক অবস্থান বদলাচ্ছে। বর্তমানে আর কোনও সম্পর্ককে অবৈধ সম্পর্ক বলা যায় না। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারাকে বাতিল করে দেওয়া হয়, যাতে পরকীয়াকে ক্রিমিনাল অফেন্স বা অপরাধ বলেই গণ্য করা হত।

