SIR-এ চাপ নয়, ভাল কাজ করলেই BLO-রা পাবেন জঙ্গল সাফারি থেকে সিনেমার টিকিট উপহার!
SIR Process: কোথাও বিএলও-কে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আবার নিজেকেই শেষ করে ফেলছেন বিএলও। ভোটারদের মধ্যেও কম আতঙ্ক-উদ্বেগ নেই। এসআইআর যখন সকলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে, সেখানেই সম্পূর্ণ অন্য চিত্র এই শহরে। সেখানে বিএলও-রা আনন্দে কাজ করছেন। ভাল কাজ করলে মিলবে যে দারুণ সব পুরস্কার!

লখনউ: এসআইআরের মারাত্মক চাপ। কোথাও বিএলও-কে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আবার নিজেকেই শেষ করে ফেলছেন বিএলও। ভোটারদের মধ্যেও কম আতঙ্ক-উদ্বেগ নেই। এসআইআর যখন সকলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে, সেখানেই সম্পূর্ণ অন্য চিত্র এই শহরে। সেখানে বিএলও-রা আনন্দে কাজ করছেন। ভাল কাজ করলে মিলবে যে দারুণ সব পুরস্কার!
এসআইআর প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত শেষ করতে যেখানে বিএলও-দের উপরে অত্যাধিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠছে, সেখানেই অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছে উত্তর প্রদেশের পিলভিট প্রশাসন। তারা বিএলও-দের জন্য ঘোষণা করেছেন ইনসেনটিভের। কী কী পাওয়া যাবে? গোটা পরিবারকে নিয়ে জঙ্গল সাফারি কিংবা রেস্তোরাঁয় বিনামূল্যে এলাহি খাওয়া-দাওয়া। এর জন্য বিএলওদের কী করতে হবে? নিজেদের অঞ্চলে সর্বাধিক সংখ্যক ডিজিটাইজড ফর্ম সাবমিট করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মতো উত্তর প্রদেশেও চলছে এসআইআর। সেখানেই ধরা পড়েছে এই আলাদা চিত্র। পিলভিটের ডেপুটি ডিস্ট্রিক ইলেকশন অফিসার প্রসুন দ্বিবেদী এই বিষয়ে বলেন যে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যে বিএলও সর্বাধিক সংখ্যক ডিজিটাইজেশনের কাজ করবেন, তাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হবে। সেরা পারফর্মার বিএলও-রা পিলভিট জঙ্গল সাফারিতে টাইগার রিজার্ভ দেখার সুযোগ পাবেন তাদের পরিবারকে নিয়ে। পাশাপাশি দেওয়া হবে নামকরা রেস্তোঁরায় খাওয়া-দাওয়া এবং সিনেমার টিকিট।
তিনি জানান, বিএলও-রা যাতে তাদের কাজ দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে শেষ করেন এবং অত্যাধিক চাপ বলে মনে না করেন, তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিলভিটে মোট ৪টি বিধানসভা রয়েছে। ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য মোট ১৫২২ জন বিএলও কাজ করছেন। রয়েছেন ১৭২ জন সুপারভাইজর। এছাড়া ৫২ জন জেলাস্তরেকৃর আধিকারিক, ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, নগর পালিকার এগজেকিউটিভ অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ ও ডিজিটাইজেশনের কাজ করার জন্য।
