নয়া দিল্লি: লোকসভার পর এ বার রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওবিসি সংশোধনী বিল। বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যতগুলি বিল সংসদে আনা হয়, তার মধ্যে কেবল এই বিলের ক্ষেত্রেই বিরোধীদের সম্মতি ছিল। ফলে সর্বসম্মতিক্রমেই সংসদের উচ্চকক্ষেও তা পাশ হয়ে গেল। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলেই এই সংশোধনী আইনের রূপ পাবে। সংবিধানের ১২৭ তম অনুচ্ছেদের সংশোধনীতে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিজস্ব ওবিসি তালিকা তৈরির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবারই লোকসভায় পাশ হয় ওবিসি বিল। কার্যত নজিরবিহীনভাবে এই বিলটি পেশ করার সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি, কোনও বিরুদ্ধ সুরও তোলা হয়নি। কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন দফতরের মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিলেন। নিম্নকক্ষে এই নিয়ে বিশেষ বাকবিতণ্ডা না হলেও উচ্চকক্ষে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বিলটিতে রাজ্যের হাতে থাকা সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ অধিকার বৃদ্ধির পক্ষে দাবি তোলে কংগ্রেস। যদিও সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়নি। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় এই বিলের সমর্থনে ১৮৭ টি ভোট পড়ে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিপক্ষে একটিও ভোট পড়েনি।
বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংবিধানে এই সংশোধনীর ফলে দেশের প্রায় ৬৭১ টি উপজাতি লাভবান হবে। কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী জানান, বিরোধীরা ওবিসি সমাজের স্বার্থের পক্ষেই রয়েছে। যে কারণে এই বিলকে সমর্থন জানানো হচ্ছে। একমাত্র এই ওবিসি বিলের ক্ষেত্রেই যেন গোটা বাদল অধিবেশনের উল্টো ছবি দেখা গেল সংসদে। অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস-সহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে বিরোধীরা খড়্গহস্ত থেকেছে। বারবার দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছে। বাধ্য় হয়ে অধিবেশন শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে বুধবারই অধিবেশনে ইতি টানা হয়েছে। সেই তুলনায় গত দু’দিনের এই সমন্বয়ের ছবি কিছুটা বিরল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র বেশি বিপন্ন কোন রাজ্যে?’ বুঝে নিতে অসম-ত্রিপুরায় পা বাড়াচ্ছেন আব্বাস-নওশাদরাও