কিন্নর: পাহাড়ি ধসে চাপা পড়ে গিয়েছে আস্ত বাস। বাসে থাকা অন্তত ৪০ জন যাত্রী ভিতর আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনের দেহ বের করে আনা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। ড্রোন দিয়ে ঘটনাস্থলে নজর রাখা হচ্ছে। বিকল্প রাস্তা তৈরি করে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবরে, ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর আহত হয়েছেন ১৩ জন। ২৫-৩০ জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। কিন্নরের নুগুলসারি এলাকায় ধস নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বুধবার দুপুরে।
উদ্ধাতরকাজে যোগ দিয়েছে তিন শতাধিক আইটিবিপি জওয়ান। ধসের নেমে আসা পাথর সরিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। আইটিবিপি-র মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানিয়েছেন আইটিবিপি-র তিনটি ব্যাটেলিয়ন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রথম দিকে ধসের পাথর যে ভাবে নেমে আসছিল, তাতে উদ্ধারকাজ করতে পারছিলেন না জওয়ানরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনিও দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হিমাচলের কিন্নর জেলার নেইগাল সারিতে ধস নামে। আটকে পড়ে হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজমের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। বর্ষার শুরু থেকেই হিমাচল প্রদেশের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। এই অঞ্চলে ধস নামার ঘটনা নতুন নয়। এ দিন দুপুরেও একইভাবে ধস নামে কিন্নর জেলায়। সেই সময় ওই পথ ধরে যাচ্ছিল হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজমের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। পাথরের ধাক্কায় বাস থেকে চালক ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয় বিধায়ক জগৎ সিং জানান, বাসে কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। রাতভর চলবে উদ্ধারকাজ। আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নিয়েও করোনা আক্রান্ত ৪০ হাজার, ভাবাচ্ছে ভারতকে