ভূবনেশ্বর: রাজ্য়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের, ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণও (COVID-19)। বাকি রাজ্যগুলিকে দেখে এবার ওড়িশা(Odisha)-তেও বর্ষবরণের উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বৃহস্পতিবারই ওড়িশা সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে যাবতীয় পার্টি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু নববর্ষর উদযাপনেই নয়, ওড়িশায় সবধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১০০ জনের বেশি জমায়েতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।
ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা বিধি ও পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেওনঝড় জেলায় মা তারিণী মন্দির ও ভূৃবনেশ্বরে লিঙ্গরাজ মন্দির ২ জানুয়ারি অবধি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাবতীয় সামাজিক ও ধর্মীয় জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পার্ক বা নেচার ক্লাবে কোনও পিকনিক করা যাবে না। সমুদ্র সৈকতেও জমায়েত বা পিকনিক করা যাবে না। কোনও হোটেল বা অন্যান্য জায়গায় নাচ-গানের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। জানুয়ারি মাসের শেষ অবধি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিকনিক বা শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করতে পারবে না।
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আধিকারিকরা গোটা রাজ্য়জুড়েই নিয়মিত নজরদারি চালাবে। যেই জায়গাগুলিতে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেমন বিভিন্ন পিকনিক স্পট, শপিং মল, হোটেল, ক্লাব ও রেস্তরাঁয় বিনা নোটিসেও অভিযান চালাতে পারবেন আধিকারিকরা।
রাজ্যে বাকি সমস্ত জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নির্বাচনা প্রচারের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন থাকায়, করোনাবিধি অনুসরণ করে মিটিং, মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও ১০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।
রাজ্য সরকারের তরফে ফের একবার নৈশ কার্ফুর নিয়মও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শহরতলিগুলিতে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা অবধি কার্ফু জারি থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বা প্রয়োজনীয় নথি ছাড়া কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না।