নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। এরই মধ্যে আজ দুই ওমিক্রন রোগীর হদিশ মেলার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছিলেন, কর্ণাটকের দুই বাসিন্দা করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারর শীর্ষ স্তর থেকেই এই ঘোষণার পর স্বভাবতই দেশ তথা কর্ণাটক ঘিরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এর পরে এমন এক তথ্য সামনে আসে যাতে বিস্মিত হয়ে পড়েন সকলে। জানা গিয়েছে ব্যাঙ্গালোরের ওমিক্রন আক্রান্ত ৬৬ বছরের ব্যক্তি কর্ণাটকে নেই। গত ২৭ নভেম্বর, সংক্রমণ নিয়ে বিমানে চেপে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি চলে গিয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এমনটাই জানতে পারা গিয়েছে।
বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা সূত্রে খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন। চলতি মাসের ২০ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন ওই ব্যক্তি। তাঁর করোনা টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এরপরেই সেদিন তিনি একটি হোটেলে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন। সরকারি চিকিৎসক হোটেলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে হোটেলের ঘরে নিভৃতবাসের পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই যেহেতু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, তাই জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য ২২ নভেম্বর পুনরায় তাঁর নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠান হয়। মোট ২৪ জন ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, প্রত্যেকেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা ২৪০ জন ব্যক্তিরও করোনা পরীক্ষা করে পুরসভা। তাদের সকলের পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ আসে।
সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর ওই ব্যক্তি আরও একবার করোন পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এরপরই ২৭ নভেম্বর তিনি হোটেল থেকে চেকআউট করে একটি ক্যাব বুক করে বিমান বন্দর যান। সেখান থেকেই বিমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
আরও পড়ুন Kedarnarth Temple: দেবভূমির ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেদারনাথ মন্দির, পিছনে লুকিয়ে অনেক কারণ