Omicron Sub-Variant in India: জোড়া ডোজ় নেওয়ার পরও শরীরে মিলল BA4, BA5, কী কী উপসর্গ দেখা যাচ্ছে?

Omicron Sub-Variant in India: করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশেষজ্ঞরা এখনও নজর রাখছেন পরিস্থিতির ওপর। সম্প্রতি ভারতে ধরা পড়েছে করোনাপ নয়া রূপ।

Omicron Sub-Variant in India: জোড়া ডোজ় নেওয়ার পরও শরীরে মিলল BA4, BA5, কী কী উপসর্গ দেখা যাচ্ছে?
পিছু ছাড়ছে না করোনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 8:51 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসেছে অনেকটাই। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। কিন্তু আশঙ্কা একটাই, সবার অজান্তে আবারও আছড়ে পড়বে না তো কোনও নতুন ঢেউ? আর সেই আশঙ্কা থেকেই প্রত্যেকটা সংক্রমণের ঘটনাকেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সমান তালে চলছে জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর কাজ। আক্রান্তের শরীরের করোনার কোন রূপ ধরা দিল, তা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। আর ওমিক্রনের ঢেউ স্তিমিত হলেও এখনও পিছু ছাড়েনি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ল এবার। ভারতে এরকম তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাঁদের শরীরে রয়েছে বিএ ৪ বা বিএ ৫ সাব ভ্যারিয়েন্ট।

তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় দুই আক্রান্তের শরীরে ধরা পড়েছে বিএ ৪। দুজনের কেউই অদূর অতীতে কোথাও ভ্রমণ করেননি। স্থানীয়ভাবে এগুলি ছড়াচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর বয়স ১৯ আর তেলেঙ্গানায় যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর বয়স ৯০ বছর। জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর তথ্য বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্র INSACOG নামে যে ফোরাম তৈরি করেছে, তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ওই ১৯ বছরের তরুণীর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া হায়দরাবাদে এক ৮০ বছরের বৃদ্ধের শরীরে ধরা পড়েছে বিএ ৫ সাব ভ্যারিয়েন্ট।

কত উদ্বেগের এই সব সাব ভ্যারিয়েন্ট?

বিএ ৪ বা বিএ ৫ – কে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে এই সব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের শরীরে খুব গুরুতর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম।

কতটা সংক্রামক? কী উপসর্গ ধরা পড়ছে?

ওমিক্রন কতটা সংক্রামক তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা চালানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের চিফ মেডিক্যাল অ্যাডভাইসর জানিয়েছেন, ওমিক্রনের আসল চেহারার তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যাঁদের শরীরে এই নয়া রূপ ধরা পড়ছে, দেখা যাচ্ছে, তাঁদের উপসর্গ অনেকটা ঠাণ্ডা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো। গন্ধ বা স্বাদ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। তবে শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। বেশির ভাগ আক্রান্তই জানাচ্ছেন, তাঁদের নাক বন্ধ, কাশি, হাতে-পায়ে ব্যাথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ রয়েছে।