নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের (COVID-19) অভিযোজন হয়েই এসেছে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট(Omicron)। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলার দুই মাসের মধ্যেই ফের রূপ বদলে ফেলল এই মারণ ভাইরাস। জানা গিয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি নতুন রূপের খোঁজ মিলেছে, যা বিএ.২ (Omicron BA.2) নামেই পরিচিত। কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ওমিক্রনের এই নয়া রূপ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তাই-ই জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক দেশে ওমিক্রনের এই নতুন রূপের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আরও কড়া নজরদারির প্রয়োজন। ব্রিটেনে এখনও অবধি ওমিক্রনের বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪২৬ জনের খোঁজ মিলেছে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে। ওমিক্রনের নয়া রূপ প্রথম ধরা পড়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর। লন্ডনে এখনও অবধি মোট ১৪৬ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যা ব্রিটেনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপরই রয়েছে সাউথ ইস্ট, সেখানে ৯৭ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
ওমিক্রনের জিনোমে এই পরিবর্তন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সে সম্পর্কে এখনও জানা না গেলেও, প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গিয়েছে যে, ওমিক্রনের এই নতুন রূপের বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি। তবে কেবল বৃদ্ধির হারের উপর নির্ভর করেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনা সংক্রমণের জিনোম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রাহক, এমন এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে মোট ৮ হাজার ৪০টি ওমিক্রনের বিএ.২ রূপ ধরা পড়েছে। প্রথম সংক্রমণ ফিলিপিন্সে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ধরা পড়ে। ডেনমার্কেও ৬৪১১ জিনোম সিকোয়েন্সের মধ্যে অধিকাংশই বিএ.২ রূপ বলে জানা গিয়েছে। ভারতেও ৫৩০টি নমুনায় ওমিক্রনের এই রূপ ধরা পড়েছে। এরপরই রয়েছে সুইডেন, সেখানে ১৮১টি নমুনায় এই নতুন রূপ ধরা পড়েছে। সিঙ্গাপুরেও ১২৭ টি নমুনায় ওমিক্রন বিএ.২ ধরা পড়েছে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার করোনা সংক্রমণ বিভাগের ডিরেক্টর ডঃ মীরা চন্দ বলেন, “ভাইরাসের প্রকৃতিই হল পরিবর্তন ও অভিযোজন। তাই এই অতিমারি চলতে থাকলে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হওয়াও স্বাভাবিক। তবে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নেই, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে এটি ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপ, অর্থাৎ ওমিক্রন বিএ.১-র থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হবে বা গুরুতর অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠবে।”