ভোপাল: মধ্য প্রদেশের নর্মদাপুরম এলাকা। সেখানেই একটি আবাসনের পাইপলাইনে ঢুকে পড়েছিল একটি সাপ। যদিও সাপটি বিষধরপ ছিল না, কিন্তু সেই সাপ নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় আবাসনের অন্দরে। সাপকে পাইপলাইন দিয়ে ফেরত পাঠাতে না পেরে আবাসনের বাসিন্দারা কীটনাশক মেশানো জল ঢেলে দেন। এর জেরে সাপটি বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু আবাসনের বাসিন্দারা কী করবেন ভেবে না পেয়ে ফোন করেছিলেন থানায়।
এর পর থানা থেকে কয়েক জন পুলিশকর্মী এসেছিলেন সেখানে। তাঁদের সঙ্গে এসেছিলেন কনস্টেবল অতুল শর্মাও। তিনি নিজেকে ‘স্বপ্রশিক্ষিত সাপ উদ্ধারকারী’ হিসাবে দাবি করে থাকেন। তিনি ওই সাপটিকে হাতে তুলে নেন। তার পর সাপটিকে ভাল করে দেখতে থাকেন। এবং সাপের সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাকসিনেশন) করতে থাকেন। মাঝে মধ্যে সাপটিকে জল দিয়ে ধুয়েও দিচ্ছিলেনে তিনি। এর জেরে আসাবনের বাসিন্দাদের ছেটানো কীটনাশক জল ধুয়ে যায় সাপের গা থেকে। এ রকম করতে করতেই হঠাৎ নড়ে ওঠে সাপটি। তা দেখেই সেখানকার বাসিন্দারা হাততালি দিতে থাকেন। রীতিমতো অভিনন্দন জানাতে থাকেন ওই পুলিশ কনস্টেবলকে।
Police constable giving CPR to a snake that fainted from toxic water pic.twitter.com/DqKJWW3A9a
— Harsh Tyagii (@tyagiih5) October 26, 2023
এই ঘটনার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিয়ো দেখে সবাই কনস্টেবলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকেরই মতে, সিপিআর করেই সাপের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। নেটিজেনরা সেই ঘটনাকে ‘কিস অব লাইফ’ বলেও অভিহিত করেছেন।
কিন্তু সিপিআর-এর জেরেই ওই সাপ বেঁচেছে? এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন এক ভেটেরিনারি চিকিৎসকের সঙ্গে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, সাপ কখনও সিপিআর নিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সাপটি নিজে থেকেই জ্ঞান ফিরে পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।