নয়া দিল্লি: আহমেদাবাদের ভোপালে ফের খুন! ১০ নভেম্বর এমআইসিএ- র পড়ুয়া প্রিয়াংশু জৈন খুনকাণ্ডের পর এবার থানা এলাকারই এক ব্যবসায়ী। খুন করার পাশাপাশি মাথা থেঁতলে তাঁর পরিচয় লোপাটের চেষ্টাও করা হয়েছে। প্রিয়াংশু হত্যার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এবার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ অবশ্য খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদের ভোপালের গারোদিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ব্যবসায়ী দীপক প্যাটেল (৬৫)। ‘প্রপার্টি ডিলার’ হিসেবে ব্যবসায় বেশ নামডাক হয়েছিল তাঁর। সম্প্রতি তিনি কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কথা ছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবেন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এমনকী একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ফলে আতঙ্কিত ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী বিষয়টি জানান আমেরিকায় কর্মরত তাঁদের ছেলেকে।
মায়ের কাছে খবর পেয়ে, তাঁর ছেলেই বাবার আইফোন ট্র্যাক করার চেষ্টা করেন। নির্দিষ্ট লোকেশন খুঁজে পেয়ে যান অল্প সময়ের মধ্যেই। এরপর তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে গেলে দীপক পাটেলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থলে পড়েছিল ওই ব্যবসায়ীর নিথর দেহ। চারদিক ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। মাথায় ছিল গভীর ক্ষত।
বিষয়টি নিয়ে ভোপাল থানার কর্তা বিটি গোহিল বলেন, “গারোদিয়া গ্রামের কাছেই আমরা একটি মৃতদেহ পেয়েছি। খুনের মামলার রুজু করেই তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে আমাদের টিম। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম পাঠানো হয়েছিল। তাঁরাও বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “মৃতদেহের মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ফলে প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে হচ্ছে। সম্পত্তির লেনদেন এবং কেনা বেচার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন দীপক প্যাটেল। ফলে ব্যবসায়িক শত্রুতার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত আমরা এই খুনের ঘটনার যবনিকা পতন করতে পারব।”