One Nation, One Election: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’, এই মেয়াদেই বিরাট পদক্ষেপ করবেন মোদী

One Nation, One Election: গত ৯ জুন টানা তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। এক ঘনিষ্ঠ সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ায় 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর প্রস্তাব এনডিএ জোটের শরিক ও আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবে বলে মনে করছে সরকার।

One Nation, One Election: 'এক দেশ এক নির্বাচন', এই মেয়াদেই বিরাট পদক্ষেপ করবেন মোদী
মোদী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন এক দেশ এক নির্বাচনকেImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 16, 2024 | 8:06 AM

নয়া দিল্লি: চলতি মেয়াদেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সরকারি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই নীতি পরিবর্তনের লক্ষ্য হল, ভারত জুড়ে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করা। এই প্রস্তাবকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে। গত ৯ জুন টানা তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। এক ঘনিষ্ঠ সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ায় ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর প্রস্তাব এনডিএ জোটের শরিক ও আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবে বলে মনে করছে সরকার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র জানিয়েছে, “অবশ্যই এই মেয়াদেই এটি বাস্তবায়িত করা হবে।”

একসঙ্গে লোকসভা ও সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করা যায় কিনা, বা করা গেলে তা কীভাবে হবে, এই বিষয়ে বিবেচনার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়েছিল মোদী সরাকর। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলে সেই কমিটি। তারপর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ১৮,৬২৬ পৃষ্ঠার একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এই উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি। জানা গিয়েছে, ৪৭টিরও বেশি রাজনৈতিক দল, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের কমিটিকে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছিল। তার মধ্যে ৩২টি দলই ‘এক নির্বাচনের’ ধারণাকে সমর্থন করেছে। এছাড়া, সংবাদপত্রে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির জবাবে নাগরিকদের কাছ থেকে ২১,৫৫৮টি প্রতিক্রিয়া এসেছে। তার মধ্যেও ৮০ শতাংশ এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।

এর পাশাপাশি, এক নির্বাচনের বিষয়ে ভারতের চারজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের বারোজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং চারজন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সহ আইনি বিশেষজ্ঞদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতামতও বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া, ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি’ (CII), ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (FICCI) এবং ‘অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’ (ASSOCHAM) এর মতো শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাগুলি বলেছিল, বারবার নির্বাচন হলে মূল্যদ্ধির চাপ বাড়বে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়বে। জনসাধারণের ব্যয় বাড়বে এবং সামাজিক সম্প্রীতিও ব্যাহত হতে পারে।

এই পরামর্শগুলি পাওয়ার পর, কমিটি একযোগে নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য দুই পদক্ষেপের এক পদ্ধতির প্রস্তাব করেছে। প্রথম ধাপে, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনগুলি করা হবে। জাতীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় – তিন স্তরের নির্বাচনের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ভোটার তালিকা এবং একটি একক নির্বাচনী ফটো আইডেন্টিটি কার্ড ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।