মুম্বই: একের পর এক হুমকি ফোন পেয়েই চলেছিলেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খান। কার্যত যেন আতঙ্কের মধ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। গত বুধবারও (৩০ অক্টোবর) খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমন। তবে এই আবহের মধ্যেই এবার হয়ত খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন তিনি। কারণ, সলমনকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক ট্যাটু শিল্পী। বুধবারই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম গুফরান খান। কুড়ি বছর বয়সী ওই যুবক নয়ডার বাসিন্দা। তবে শুধু সলমন একাই নন, অভিযুক্ত যুবক বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি যিনি পূর্ব বান্দ্রার বিধায়ক তাঁকেও হুমকি দেন অভিযুক্ত।
বস্তুত, গতকাল মুম্বই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে একটি উড়ো মেসেজ আসে। যেখানে বলা হয়, সলমন ও জ়িশানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া। একই সঙ্গে বলা হয়, ২ কোটি টাকা না দিলে খুন করা হবে সলমনকে। হুমকির এই মেসেজ আসতেই ফোন নম্বর ট্র্যাক করা শুরু করে মুম্বই পুলিশ। আর তারপরই খোঁজ মেলে গুরফানের। নয়ডা থেকে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। পুলিশি জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, এই সব হুমকির বার্তা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দায় ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন হয়ত সলমন বা জিশান কেউ কেউ না কেই আতঙ্কিত হবেন। ভয়ে হয়ত যোগাযোগও করতে পারেন তাঁরা। এরপরই অর্থের বিনিময়ে খুনের ষড়যন্ত্র নিয়ে তথ্য দেওয়ার পরিকল্পনার ছক কষেছিলেন তিনি। তবে ট্যাটুশিল্পীর এই আশায় একদম জল ঢেলে দিল পুলিশ।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতিই একের পর এক খুনের হুমকি পাচ্ছেন সলমন। এর আগে নয়ডা থেকে বছর কুড়ির এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবক সলমন খান ও সদ্য প্রয়াত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। তার আগে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর থেকে শেখ হুসেন শেখ মৌসিন নামক এক সবজি বিক্রেতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বই পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে ওই সবজি বিক্রেতা সলমন খানকে খুনের হমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিল। আর এবার গ্রেফতার হল এই ট্যাটুশিল্পী।