Online Fraud: ‘আমি CEO বলছি…’, হোয়াটসঅ্যাপে সেরাম কর্তার নাম দেখে পাঠালেন কোটি টাকা, পরে জানলেন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 11, 2022 | 8:07 AM

Online Fraud: সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর সতীশ দেশপাণ্ডের কাছে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় যে, সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা কথা বলছেন। তাঁর এখনই টাকার দরকার।

Online Fraud: আমি CEO বলছি..., হোয়াটসঅ্যাপে সেরাম কর্তার নাম দেখে পাঠালেন কোটি টাকা, পরে জানলেন...
আদার পুনাওয়ালা।

Follow Us

নয়া দিল্লি: ‘আমি সিইও বলছি, এটা আমার নতুন নম্বর’, হোয়াটসঅ্যাপে এমনই মেসেজ পেয়েছিলেন সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া সংস্থার ডিরেক্টর। দ্রুত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকারও বেশি অঙ্ক পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোনও তথ্য আর যাচাই না করেই, সিইও-র কথা মেনে পাঠিয়েও দেওয়া হয় টাকা। এদিকে, মেসেজ পাঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের কথা জানাতেই বন্ধ নম্বর! পরে খোঁজ খবর করতেই জানা গেল আদৌই কোনও মেসেজই পাঠাননি সিইও। তাঁর নাম ভাঁড়িয়েই চোখের নিমেষে ১.১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। সেরাম সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালার নাম করেই তাঁর সংস্থার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই এক অনলাইন প্রতারকের পাতা জালে পা দেন সেরাম সংস্থার ডিরেক্টর সতীশ দেশপাণ্ডে। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে, যেখানে বলা হয় যে তিনি আদার পুনাওয়ালা। একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন তিনি। দ্রুত যেন ওই অ্যাকাউন্টে ১.১ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।  সংস্থার সিইও-ই সত্যি এই মেসেজ পাঠিয়েছেন, এই ভেবেই ডিরেক্টর টাকা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই বুঝতে পারেন যে খুব বড় ভুল করে ফেলেছেন। এরপরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, আর জবাব মেলেনি। অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এই কথা বুঝতে পেরেই তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর সতীশ দেশপাণ্ডের কাছে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় যে, সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা কথা বলছেন। তাঁর এখনই টাকার দরকার। কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন তিনি, সেখানে যেন ১ কোটি ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৫৪ টাকা পাঠিয়ে দেন। সংস্থার সিইও মেসেজ করেছেন, সেই কথা ভেবেই ডিরেক্টর আর কোনও প্রশ্ন করেননি। উল্লেখিত ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।

পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Next Article